গুণী লেখক-সাংবাদিক আহমেদ মুসা আজ ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র সময় ভোর ৬টা ১৪ মিনিটে দেশটির ক্যানসাস সিটির সেইন্ট লুকস হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘ দিন থেকে তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে ওনার বয়স হয়েছিলো ৬৪ বছর।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প যাদুঘরের সাবেক এই পরিচালক তার লেখনী ও কর্মজজ্ঞের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরে আলোর পথের দিশারী হয়ে থাকবেন।
চার দশক সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত আহমেদ মুসা সাপ্তাহিক বিচিত্রা, দৈনিক সংবাদ, দিনকাল, দেশজনতা, টিভি চ্যানেল বাংলাভিশন ও নিউ ইয়ার্কয় থেকে প্রকাশিক আজকাল সহ অনেক গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত ছিলেন। কলাম লিখেছেন দেশের শীর্ষ অনেক পত্রিকায় ।আহমেদ মূসার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্য পঁচিশ।
রাজনৈতিক হত্যাকান্ড-বিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধ-কেন্দ্রিক কয়েকটি গ্রন্থ ছাড়াও তার রয়েছে ইতিহাস-আশ্রয়ী উপন্যাস ও প্রবাস জীবন-কেন্দ্রিক উপন্যাস। অনেক টিভি নাটক ও মঞ্চ নাটকের নাট্যকার তিনি।
আহমেদ মূসা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের একজন। বাংলাদেশের জন্মশত্রু-বিরোধী আন্দোলনে সবসময়ই সক্রিয়। প্রায় এক দশক যুক্তরাষ্ট প্রবাসী আহমেদ মুসা বরাবরই আমার পিতা মরহুম সাদেক হোসেন খোকার ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। দেশে এরশাদ ও আওয়ামী লীগের দু:শাসনের বিরুদ্ধে লড়েছেন একসাথে। নিউ ইয়ার্কে থাকাকালেও আমার অসুস্থ্য পিতাকে নিয়মিত সময় দিয়ে মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লাড়াইয়ে সাহস যুগিয়েছেন। এছাড়া আমার পিতার লেখা আত্মজীবনীমূক গ্রন্থের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
প্রচার বিমুখ আহমেদ মুসা একসময় বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন, তারও আগে তিনি করতেন বাম সংগঠন। তবে দেশের স্বার্থের প্রশ্নে তিনি ছিলেন দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে আপোষহীন।আলোর পথযাত্রী হয়ে বিভিন্ন সময় দিক নির্দেশনা দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমাকেও কৃতজ্ঞতার বন্ধনের আবদ্ধ করেগেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন নিরহংকার আহমেদ মুসার স্বজনদের এই শোক সাইবার ক্ষমতা দেন।আমিন।