দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত দৌলতদিয়ায় ফেরিতে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় দেখা যায়। তবে লঞ্চ চললেও দৌলতদিয়াঘাটে যাত্রীর ভিড় দেখা যায়নি।
রোববার সকালে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়।
ঢাকামুখী যাত্রী লাকী আক্তার বলেন, কঠোর লকডাউনের মধ্যে গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ মোবাইলে মেসেজ দিয়ে কাজে যোগদান করতে বলেছেন। ছেলেটা অসুস্থ থাকায় গতকাল কর্মস্থলে যেতে পারিনি। তার পর শুনলাম বিভিন্ন জেলার সব মানুষ নাকি একসঙ্গে ঢাকায় রওনা হয়েছে। তাই আর ওত আগ্রহ না নিয়ে ঢাকায় যাইনি। লঞ্চ চালু করায় ফেরির চেয়ে লঞ্চে যাতায়াতটা খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি; তাই সকালে লঞ্চঘাটে এসে নদী পার হচ্ছি। লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় না থাকায় আরামে যেতে পারব বলে জানান তিনি।
শৈলকুপা থেকে যাওয়া ঢাকাগামী যাত্রী আমজাদ হোসেন বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলাম। শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ায় আজকের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাতে হবে, তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ট্রাকে করে লঞ্চঘাট এলাকায় এসে পৌঁছেছি। লঞ্চে তেমন একটা ভিড় দেখছি না।
বাংলাদেশ নৌপরিবহণ করপোরেশন দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, সরকার শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি আমাদের লঞ্চ চালু করার ঘোষণা দিত, তা হলে ফেরিতে একসঙ্গে এত লোক গাদাগাদি করে যেত না। কিছু লোক আমাদের লঞ্চে যেতে পারত; তাতে আমাদেরও কিছু টাকা-পয়সা আয়-রোজগার হতো।
সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ১৮টি লঞ্চ চালু করে এখন যাত্রী নেই। তা হলে লঞ্চ চালিয়ে কী লাভ হলো বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
২৩ দফা নির্দেশনা দিয়ে ঈদের তৃতীয় দিন অর্থাৎ গত ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। যেটি এখনও চলমান রয়েছে। তবে হঠাৎ করে শনিবার সরকার শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।