করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আটকাতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির তৃতীয় দিন আজ। দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। গত সোমবার (৫ এপ্রিল) সরকার সাধারণ ছুটি বা লকডাউন ঘোষণার পর থেকে মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

এদিকে লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা থাকায়, অফিসগামীদের যাতায়াত ভোগান্তি কমাতে আজ ( বুধবার ) থেকে গণপরিবহন চালু করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য বিধি মেনে গণপরিবহন চালু রাখার কথা বলা হলেও সেখানেও মানা হচ্ছেনা ঠিকমত। ৬০ শতাশং ভাড়া বৃদ্ধি করে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করলেও বাসস্টপেজ ও বাসে উঠা-নামার ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। গাদাগাদি করে বাসের জন্য অপেক্ষা ও বাস থেকে নামার সময় মানা হচ্ছেনা দুরুত্ব। সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বাস চালু থাকার কথা বলা রাত ৯ টার পরও রাস্তায় বাস চলাচল করতে দেখা যায়। একই সাথে পূর্বের মতই সড়কে যানজন দেখা যায়। রাইড শেয়ারিং মোটসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবীতে আজও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেমোটর সাইকেল চালকরা।

করোনা মহামারির লকডাউনেও রাজধানীতে দূঘটনায় প্রান হারিয়েছে এক সিএনজি চালক। এছাড়াও বাংলামটর-কাওরানবাজার বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফুটপাতে উঠে পড়ে।

করোনা প্রকোপ ঠেকাতে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য সরকার সাধারন ছুটি ঘোষনা করে । কিন্তু সরজমিনে দেখা যায়, চা দোকান, ভাম্যমান দোকান ও বাজার গুলোতে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। সেখানে নেই সামাজিক দুরুত্বের বালাই। অনেকের মাঝে দেখা যায় মাস্ক ব্যবহারে অনীহাও।

অন্যদিকে লকডাউন ঘোষনার পর থেকে মার্কেট ও দোকান খোলার দাবিতে বাজধানীর বিভিন্ন যায়গায় বিক্ষোভ করতে দো যায় দোকান মালিক কর্মচারিদের। তৃতীয় দিনেও নিউমার্কেট ও গুলিস্থানে দোকান খোলার দাবীতে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ঘটনা ঘটে।