ক্রিকেট বিশ্বের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরছেন। সোমবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে বাংলাদেশে অবতরণ করবেন তিনি।
এর আগে গতকাল শনিবার (২০ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে বিসিবি কর্মকর্তাদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন সাকিব।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে না চাওয়া ও আইপিএলকে ঘিরে বিসিবির ভুল ব্যাখ্যায় একটি অনলাইনের ফেসবুক লাইভে বিসিবির দিকে আঙুল তুলেছিলেন দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ফেসবুক লাইভে সাকিব জানান, বিসিবিকে দেওয়া চিঠিতে তিনি কোথাও টেস্ট খেলতে চান না এমন কথা উল্লেখ করেননি। অথচ সংস্থাটির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বেশ কয়েক বার বলেছেন সাকিব টেস্ট খেলতে চান না। তাছাড়া এইচপি দল থেকে ভালো খেলোয়াড় আসছে না এমন অভিযোগও করেছেন সাকিব। ওই সাক্ষাৎকারে সাকিব ভবিষ্যতে বিসিবির সভাপতি হওয়ার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন। এমনকি এও বলেন, তিনি যদি কোনো দিন বিসিবির সভাপতি হন তাহলে সবচেয়ে সেরা সভাপতি হবেন। সাকিব তার বক্তব্যে আরো উল্লেখ করেছেন, বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও খালেদ মাহমুদ সুজন ছাড়া বাকিরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন না।
এ বিষয়ে রবিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় এ নিয়ে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবি। তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী বোর্ড সভায়। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আকরাম খান ও নাঈমুর রহমান দুর্জয়। আকরাম খান বলেন, তারা সাকিবের আইপিএলে খেলার এনওসি বা অনাপত্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন। অন্যদিকে দুর্জয় বলেছেন, সাকিব জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে বোর্ডের বিরুদ্ধে এভাবে কথা বলতে পারেন না।
ফেসবুক লাইভে সাকিব বলেছিলেন, ‘যারা সমালোচনা করেছে তারা হয়তো আমার চিঠিটা পড়েনি। আমি বিসিবিকে যে চিঠি দিয়েছি, সেখানে কোথাও বলিনি যে টেস্ট খেলতে চাই না। আমি লিখেছি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে চাই না। তার চেয়ে বরং আইপিএলে খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে চাই। অথচ আকরাম ভাই বারবার বলেছেন, আমি নাকি টেস্ট খেলতে চাই না।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেললেই যে দলের বিরাট উপকার হয়ে যেত- এমনটাও মানছেন না সাকিব। তার কথা, ‘দেখুন আসলে প্রথমত শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যদি সময়মতো খেলতাম তাহলে এই প্রশ্ন আসত না। মহামারির জন্য সবকিছু উলট-পালট হয়ে গেছে। দ্বিতীয়ত, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ এটা। আমরা বোধহয় পয়েন্ট টেবিলে সবার শেষে আছি। এমন না যে এই দুই ম্যাচ খেললে তেমন কিছু যেত-আসত।’
দেশসেরা অলরাউন্ডার আরও জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হওয়ার সুযোগ যদি কখনো আসে, তবে সেটি লুফে নেবেন তিনি। তার বিশ্বাস, এই পদটি পেলে বিসিবির ইতিহাসে সেরা সভাপতি হবেন তিনি। এ সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, কখনো যদি বিসিবির সভাপতির মতো পদে যেতে পারি তাহলে আমি যে কাজ করব ওটা বাংলাদেশের আর কেউ করতে পারবে না। অবশ্যই ক্রিকেটে থাকলে আর বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ আসলে আমি হতে চাইব। আমি জানি, আমি বিসিবির ইতিহাসের সেরা সভাপতি হব। খুব ভালোভাবে বিশ্বাস করি, আমার পক্ষে এটা সম্ভব।’