তাই শরীরের ক্ষমতা বুঝতে হবে, সীমাবদ্ধতাগুলো জানতে এবং শরীরচর্চার পর তার ধকল সামলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। অতিরিক্ত শরীরচর্চার কারণে ‘স্ট্রেস হরমোন’ নিঃসৃত হয় যার কারণেই এই দীর্ঘ ক্লান্তি ঘিরে থাকে।
শক্তি কমে যাওয়া: শরীরচর্চা করার মাধ্যমে কর্মশক্তি যেমন বাড়ে তেমনি অতিরিক্ত করলে আবার কর্মশক্তি গ্রাস করে ফেলে। যেমন আগে যদি পাঁচ মিনিটে এক কিলোমিটার দৌঁড়াতে পারতেন তবে অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলে একই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় বেশি প্রয়োজন হবে। এতে আপনার মাঝে হতাশা তৈরি হবে। এর সমাধান একটাই আর তা হল পর্যাপ্ত বিশ্রাম।
আঘাত পাওয়া আশঙ্কা বাড়বে: ভারি ব্যায়ামে যদি অভ্যস্ত না হন তবে হুট করেই নিজের শক্তির পরীক্ষা নিতে যাওয়া উচিত হবে না। এতে আহত হওয়া সম্ভাবনা বাড়ে মারাত্মক হারে। এদের মধ্যে পেশি ব্যথা, হাড়ের জোড়ে টান পড়া, পিঠ কিংবা কোমরে ব্যথা ইত্যাদি সচরাচর দেখা যায়। আর এমন দুর্ঘটনা কয়েক সপ্তাহের জন্য পুরোপুরি অক্ষম করে তুলতে পারে, আবার স্থায়ী সমস্যাও তৈরি করতে পারে।
ঘুমের সমস্যা: পরিমিত শরীরচর্চা শরীরকে আরাম দেয়, যে কারণে ঘুম ভালো হয়। তবে অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলে রাতে ঘুমাতে গিয়ে এপাশ ওপাশ করেই সময় পার করতে হতে পারেন। এর কারণ হল পেশির ওপর প্রচণ্ড ধকল যাওয়া তা শক্ত হয়ে থাকতে পারে, যা অস্থিরতা তৈরি করবে এবং ঘুম আসতে বাধা দেবে।
মানসিক ঝক্কি: শরীরচর্চার পর নিঃসৃত হয় ডোপামিন, যা তৃপ্তির অনুভূতি সৃষ্টি করে। তবে অতিরিক্ত শরীরচর্চা ঠিক তার উল্টো ঘটনা ঘটায়। বাড়িয়ে দেয় ‘কর্টিসল’ হরমোনের মাত্রা। ফলে মেজাজ রুক্ষ থাকে, মানসিক অস্বস্তি ও হতাশা ঘিরে থাকবে।