অবশেষে জেলা প্রশাসন যশোরে লকডাউনে সব এনজিও প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক এর পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বেনাপোল ও শার্শা উপজেলায় লকডাউনের সময়ে ভুক্তভোগি খেটে খাওয়া ঋণ গ্রহীতা যখন তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন এনজিও কর্মীরা বাড়ি বাড়ি কিস্তি আদায়ের জন্য ধরণা দিচ্ছেন, চাপ সৃষ্টি করে কিস্তি আদায় করা হচ্ছে। মামলার ও ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা চালায়।
গত ২৩ জুন বুধবার অনলাইনে প্রকাশিত ‘বেনাপোলে সব বন্ধ খোলা শুধু কিস্তি আদায়’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর পরই ২৪ জুন জেলা প্রশাসন কিস্তি আদায় সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দেন। এতে খেটে খাওয়া বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নেওয়া মানুষজন স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ ও মৃত্যুহার যশোর জেলায় অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সময় সময় জারিকৃত পরিপত্র এবং এবং জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ফলে শ্রমজীবি, কৃষক, ভ্যান রিক্সা চালক, চায়ের দোকানসহ নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ঋণের কিস্তি প্রদানে অসমর্থ হয়ে পড়েছে ।
এমতাবস্থায় এই জেলায় কর্মরত সকল এনজিও প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হল।