ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০৫ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান রওয়ানা দিয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই মোদিকে আমন্ত্রণের কথা নিশ্চিত করেন হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা।
কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘দুই বন্ধুর’ বৈঠক হতে পারে। সূত্র জানিয়েছে, মোদি ফ্রান্স সফর শেষ করে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছাবেন। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। আমেরিকান কর্পোরেট নেতা ও ভারতীয় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গেও তিনি দেখা করবেন।
এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, মোদির সঙ্গে আমার দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়েছে। তিনি সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতেই হোয়াইট হাউসে আসছেন। আমাদের ভারতের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত, বিভিন্ন দেশে শুল্কারোপের অঙ্গীকার নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরইমধ্যে কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ট্রাম্পের শুল্কারোপ এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও দক্ষিণ আফ্রিকার ওপরও শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতায় আসার পর সবেচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক চমৎকার ছিল। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে অবৈধ অভিবাসী ও শুল্কারোপের যে ঘোষণা দিয়েছেন তার মধ্যে ভারতও পড়ে।
তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে এরইমধ্যে অবৈধ ১৮ হাজার অভিবাসীকে নিতে সম্মত হয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রও ইতোমধ্যে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু করেছে। অন্যদিকে বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াতে ভারত এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়েছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াতে ভারত অন্য দেশের তুলনার যথেষ্ট করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি শেয়ারের সম্পর্ক জোরদারে তারা আগ্রহী।