মেক্সিকোর কর্মকর্তারা উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য তামাউলিপাসে ১৯ ব্যক্তিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত আছেন সন্দেহে ১২ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছেন।
গত মাসের প্রথমদিকে রাজ্যটির কামারগো শহরে গুয়াতেমালার অভিবাসীসহ ১৯ জনের লাশ পাওয়া যায়। তারা নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তামাউলিপাসের অ্যাটর্নি জেনারেল ইরভিং ব্যারিওস জানান, কামারগোর ওই হত্যাকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের অন্তত ১২ সদস্য সম্ভবত জড়িত ছিলেন, তদন্তে এমনটি দেখা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তামাউলিপাস রাজ্য পুলিশের একজন মুখপাত্র পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করলেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, রয়টার্সকে ব্যারিওসের বিবৃতি দেখতে বলেন তিনি।
নিহত ১৯ জনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত মাত্র চার জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন গুয়াতেমালা থেকে আসা অভিবাসী, বাকি দুইজন মেক্সিকান। নিহতদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশী ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নিহতদের আগুনে পোড়া গুলিবিদ্ধ লাশগুলো একটি অগ্নিদগ্ধ গাড়িতে পাওয়া যায়। গাড়িটির গায়েও অনেকগুলো গুলির চিহ্ন ছিল।
নিহতদের মধ্যে তাদের আরও লোকজন থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে গুয়াতেমালার বেশ কয়েকটি পরিবার। তাদের এসব প্রিয়জন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা।
ঘটনাস্থলে পাওয়া আগুনে পোড়া গাড়িটির মেক্সিকান মালিকও নিহতদের মধ্যে আছেন বলে কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন। এ ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে তামাউলিপাসের প্রতিবেশী রাজ্য নুভো লিওনে ৬৬ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে আটকের সময় তার পিক আপ ট্রাকটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
কিন্তু পরে গাড়িটি ছেড়ে দিয়ে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়, যাকে জেসান এম নামে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত অপর মেক্সিকানকে ড্যানিয়েল পি বলে শনাক্ত করা হয়েছে; এই লোক মানবপাচারকারী ছিলেন বলে কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন।
গাড়িটি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার জন্য নিকটবর্তী একটি গ্রামীণ এলাকায় অপেক্ষা করার সময় হামলার শিকার হয়।