1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

মৃত্যু যন্ত্রণাও সন্তানের কথা ভোলাতে পারেনি মাকে!

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১

রংপুর মর্ডান মোড়ের বাসিন্দা শাম্মি বেগম (৩৫)। সাত বছরের ছেলে শুভকে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাবার বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জে যাচ্ছিলেন।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী প্রশিকা অফিসের সামনে ঢাকা থেকে রংপুরগামী একটি কাভার্ডভ্যান অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়েন মা-ছেলে ও অটোরিকশা চালকসহ আরো তিনজন।

রক্তাক্ত শরীর নিয়ে সড়কের পাশে পড়ে থাকা শাম্মিকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে যান স্থানীয় গৃধারীপুর গ্রামের ফুলমিয়া ও মেহেদী হাসান গালিব। এসময় শাম্মি নিজের কথা ভুলে বারবার ছেলে শুভর খোঁজ করছিলেন। মা-ছেলেকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে শুভ শঙ্কামুক্ত হলেও মা শাম্মির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শাম্মী যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন, সেসময়ও তিনি বলছিলেন, শুভ কোথায়- শুভর কি অবস্থা? তখন উদ্ধারকারী ফুল মিয়া ও গালিব শুভকে মায়ের কাছে নেয়। শুভ মাকে বলে মা এইতো আমি, আমি ঠিক আছি। আমার কিছু হয়নি। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে তোলার পরেই শুভর সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শাম্মি। সন্তানের প্রতি মায়ের এ ভালোবাসা এবং সাত বছরের শিশুর সামনে মায়ের মৃত্যু নির্বাক করে দিয়েছে উপস্থিত সবাইকে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে মার কিছু হয়নি-ঘুমিয়ে পড়েছেন, তার চিকিৎসা চলছে। এসব বলে শুভকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন ওই দুই যুবক।

পরে শুভর বাবা, বোন, নানা এসে রাতেই শাম্মির মরদেহ বাবার বাড়ি শিবগঞ্জে নিয়ে যান। শুভর বাবার নাম বাবু মিয়া। শম্পা নামে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক বোন আছে শুভর।

ওই দুর্ঘটনায় শাম্মি ছাড়াও আরো তিনজন প্রাণ হারান। তারা হলেন- সিএনজি চালক গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের সবুজ মিয়া (৩৫), ভোলা জেলার নিয়ামুল হকের ছেলে জিন্টু মিয়া (৩০) ও রংপুরের হারাগাছ বাংলা বাজারের শাহ জালাল (৩৫)।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব