মিয়ানমারে বিক্ষোভে একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রাণহানির পর দিন সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী আরও বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়েছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থিরা। সেটি মোকাবিলায় মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের কয়েকটি এলাকায় অংশবিশেষে ‘মার্শাল ল’ জারি করা হয়েছে।
বিক্ষোভে চীনা অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি কারখানায় আগুন দেওয়ার পর মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের দুটি শিল্পাঞ্চলে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে রোববার সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন দেখেছে মিয়ানমার, এদিন দেশজুড়ে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন।
এ নিয়ে দেশটিতে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে ১২৬ জন নিহত হলেন। পর্যবেক্ষণ সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস বলছে, ইয়াঙ্গুনের হ্লাইংথায়া এলাকায় গতকাল ২২ বিক্ষোভকারী নিহত হন। অন্যান্য এলাকায় নিহত হন ১৬ বিক্ষোভকারী। এ ছাড়া গতকাল পুলিশের এক সদস্যও নিহত হন। অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়, গতকালের বিক্ষোভ-সহিংসতার জেরে ইয়াঙ্গুনের হ্লাইংথায়া ও সুয়েপিয়েথা এলাকায় মার্শাল ল জারি করা হয়েছে।
গতকাল হ্লাইংথায়া এলাকায় চীনের অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি কারখানায় হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। মিয়ানমারের চীনা দূতাবাস বলেছে, এ হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দেশটির অনেক কর্মী আহত হয়েছেন। অনেকে আটকা পড়েছেন। চীনা সম্পদ ও নাগরিকদের রক্ষার জন্য মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন।
এদিকে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে আজ আদালতে হাজির করা হতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।