1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন

মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নতুন ক্রেতা শেষ পর্যন্ত কারখানা চালাতে পারবেন তো।

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১

মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এর নতুন ক্রেতা শেষ পর্যন্ত কারখানা চালাতে পারবেন তো । ইতিমধ্যে কর্মসংস্থান হারিয়েছেন প্রায় ১০/১২ শত শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত দুই বছর বন্ধ থাকার মতই চলছে। নতুন মালিকপক্ষ দেড় বছর পূর্বে একসাথে চারটি কোম্পানি ক্রয় করার ফলে আর্থিক সংকটে পড়ে যায়। ফলে এখন পর্যন্ত কোন কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করে নিতে পারে নাই। চারটি কোম্পানি আলাদা আলাদা ব্যাংক লোন রয়েছে এবং ব্যাংক লোন দিন দিন বেড়েই চাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোম্পানির সাবেক একজন কর্মকর্তা বলেন এই ধরনের কোম্পানি চালানোর বর্তমান মালিকের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দক্ষ জনবল ছাড়া এই ধরনের প্রক্রিয়া চালানো অসম্ভব। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ডিসেম্বর’২০ কোম্পানি ১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করার পরও অদ্যবধি পরিশোধ করতে পারেনি। এই কারখানা পুরোপুরি চালু করতে হলে প্রায় ৮/১০ কোটি নগদ বিনিয়োগ করতে হবে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় নগদ এত টাকা বিনিয়োগ করা নতুন মালিকের পক্ষে সম্ভব নয়। মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মূলত দুই ভাবে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করে। একটি হল স্থানীয় বাজারে যা বিসিআইসি ও উহার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নিকট টেন্ডারের মাধ্যমে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যে বিসিআইসির বড় বড় টেন্ডার হয়েছে টেন্ডারে বেশি মূল্য দেওয়াতে তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। উল্লেখ্য যে বেশ কয়েক বছর পূর্বে সব খাতের সরকার প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এবং পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছেন যার ফলে স্থানীয় বাজারে প্লাস্টিক ব্যাগের চাহিদা কমে গেছে। মালিকানা পরিবর্তনের ফলে এই ধরনের কারখানাতে অতীত অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে বিদেশি যে কোনো ক্রেতা অর্ডার দিবে যেখানেই এমনিতেই আন্তর্জাতিক বাজারে কোভিদ-১৯ এর কারণে প্রায় ৫০% অর্ডার কমে গেছে। যার কারণে ক্রেতাদের ক্রয় করার চাপ অনেক কম থাকবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অনেকগুলি একই ধরনের কারখানা হয়ে গেছে এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত দক্ষ জনবলের কারণে কোয়ালিটি প্রডাক্ট তুলনামূলক কম মূল্যের রপ্তানি করতে পারছে। আর্থিক সঙ্কটের কারণে গত দেড় বছরের পর্যাপ্ত অর্ডার না থাকায় ও সময়মতো কাঁচামাল যোগান দিতে না পারায় কারখানায় উৎপাদন ক্ষমতার ১০/১২ শতাংশের বেশি করতে পারে নাই। অনেকেই সন্দিহান এ অবস্থায় আদৌ কারখানা চালাতে পারবে কিনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানায় কর্মরত একজন কর্মকর্তা বলেন এই ফ্যাক্টরীকে লাভবান করতে হলে হিউজ পরিমান ভলিউম অর্ডার সংগ্রহ করতে হবে এবং ওয়েস্টেজ কমিয়ে বলিয়ম প্রোডাকশন করে গুণগত মান নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে। প্রতিযোগিতা মূল্যে অর্ডার সংগ্রহ করতে পারবেন, তবে অনেকেই মনে করেন আন্তর্জাতিক বাজার সংকুচিত হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় ভলিউম অর্ডার তিনি পাবেন না। নতুন ম্যানেজমেন্টের পক্ষের হিউজ অর্ডার নেওয়া দুষ্কর কারণ ব্যাংকের টার্ম লোনের কিস্তি শোধ ও অন্যান্য খরচ অনেক বেশি। উপরন্ত নতুন মালিক যে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো কিনেছেন সেগুলো একই ধরনের পণ্য উৎপাদন করে ফলে ইহা কিন্তু মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিযোগী হবে। সেটি একটি ভয়ের কারণ।

এই সমস্ত বিষয় গুলো ইহা অত্যন্ত দুঃসাধ্য ব্যাপার। বন্ধ প্রায় এই ফ্যাক্টরিগুলো চালু করে প্রতিকূল সমস্যা পার হয়ে হিউজ ব্যাংক লোন পরিশোধ করে লাভে যাওয়া ইহা অত্যন্ত অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। ইহা একটি দুঃসাধ্য কাজ যেহেতু প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে যথেষ্ট লোন আছে। এতে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছে যে, কারখানা চালু করে আদৌ তিনি চলমান রাখতে পারবেন কিনা।

প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যদি প্রতিষ্ঠানটি সবদিকে গুছিয়ে বছরে ৮০/৯০ কোটি টাকা বিক্রয় করতে পারে। তাহলে কোন রকমে খরচ সমান সমান হবে। তৃতীয় বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আগে কোনভাবেই সম্ভব না। যদি ১০০-১২০ কোটি টাকা বিক্রয় করতে পারে তাহলে সামান্য লাভ করা সম্ভব। যা চতুর্থ অর্থবছর ২০২৪-২৫ অর্থ বছর আগে কোনভাবেই সম্ভব না। তবে উল্লেখিত লক্ষ্য অর্জন করা তখনই সম্ভব যদি ক) ৮/১০ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে বিনিয়োগ করতে পারেন। খ) দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে পারেন। গ) বলিয়ম অর্ডার (স্থানীয় ও রপ্তানি আদেশ) সংগ্রহ করতে পারেন। ঘ) ব্যাংকের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করে ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট নিতে পারেন। ঙ) কারখানায় পর্যাপ্ত উৎপাদন করতে পারেন। কাঁচামাল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল সঠিক সময়ে যোগান দিতে পারেন। চ) স্থানীয় ও বৈদেশিক ক্রেতার আস্থা বিশ্বাস ভরসা অর্জন ও সময়মতো উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করতে পারেন। ছ) সময় মতো বেতন ভাতাদি ও অন্যান্য বিল পরিশোধ করতে পারেন।

এদিকে এক-দেড় বছর পূর্বে গত ২৮/১০/২০১৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মূল্য ছিল ১৩.৫০ টাকা। উক্ত শেয়ারের মূল্য ২২-১২-২০১৯ তারিখের ১৩.৫০ থেকে বেড়ে ১৭.৪০ টাকায় উঠেছিল। বর্তমানে ৩৪/৩৫ টাকায় ওঠানামা করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন উক্ত শেয়ার নিয়ে হয়তো কেউ খেলছে। উক্ত কোম্পানীর যে ইপিএস ও নেট অ্যাসেট ভ্যালু রয়েছে তাতে শেয়ারের মূল্য অনেক কম হওয়ার ন্যায্যতা রাখে। ফলে উক্ত শেয়ার কিনে কেউ বড়লোক হবে আবার কেউ নিঃস্ব হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে মিরাক্কেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কোম্পানি সচিব দেওয়ান মোহাম্মদ জাহিদ বলেন, ফ্যাক্টরি একটা সময় রুগ্ন ছিল। ডিভিডেন্ট ক্রাইসিস আছে যা শীঘ্রই কেটে যাবে। কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কেউ কেউ রিউমার ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, কেউ না কেউ খেলছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারী গণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এমআইএল) যাহার নিবন্ধন হয় ১৯৯৩ সালে। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)র এর সাথে জয়েন্ট ভেঞ্চার এগ্রিমেন্ট হয় এবং ১১৯৮ সালে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) ও ট্রিপল সুপার অস্পেক্ট কমপ্লেক্স লিমিটেড (টিএসপিসিএল) ও ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিএল) এর সাথে একটি শেয়ারহোল্ডার এগ্রিমেন্ট সম্পাদন হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি এপ্রিল ২০০০ সালে ডিএসই ও সিএসই এর তালিকা ভুক্ত হয়। ইহার উৎপাদিত পণ্য ডব্লিউ পিপি+পি ও এসটিসি ব্যাগ।

প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ২৪/২৫ বছর যাবত অত্যন্ত সুন্দর ভাবে চলতে ছিল এবং ভালো লভ্যাংশ দিয়ে আসছিল। বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী মালামাল উৎপাদন ও ও উৎপাদনের ভলিউম বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএমআরআই করা হয়। এতে অপ্রত্যাশিতভাবে খরচ বেড়ে যায় ফলে আর্থিক সঙ্কট দেখা দেয়ায় বোর্ড মিটিং এর সিদ্ধান্ত আলোকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন বিসিআইসি এর নিকট অগ্রিম হিসেবে ৫ কোটি টাকা প্রদানের জন্য আবেদন করা হয়। মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড উক্ত লেন পাইনাই। কারখানার হেড গোলাম দস্তগীর পলাশকে কারখানা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে আমি এসব কিছু জানি না আমার কাজ হলো ফ্যাক্টরি চালানো। আমার কাছে কোন তথ্য থাকে না। তিনি বলেন, ফ্যাক্টরি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। আপডেট হতে সময় লাগবে। প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকৃত ব্যাংক পাওনা আদায়ের জন্য তাগাদা দিতে থাকেন এবং পাওনা আদায়ে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে অবহিত করেন। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিসিআইসি এর পরিচালক জেসমিন নাহারকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি এখন মিটিং কে আছি পরে কথা বলব। আপনি আমাদের প্রতিষ্ঠান পিআরও এর সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্তৃপক্ষ শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষার্থে, ব্যাংক লোন পরিশোধ, দেউলিয়া থেকে বাচার প্রায় ১০/১২ শত শ্রমিক ও কর্মচারীদের কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের কথা চিন্তা করে কারখানাটি চালু রাখার স্বার্থে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজতে থাকেন। জানা যায় গত ২০১৯ সালের শেয়ার হস্তান্তর এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি গ্রুপের শেয়ার ক্রয় করেন মেসার্স মেহমুদ ইকুইটিজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ডঃ একেএম শাহবুব আলম। যিনি প্রথমে চাকরি করতেন পরবর্তীতে শেয়ার মার্কেটে ব্যবসা করেন। তাহাকে নিয়ে একটি আলোচিত-সমালোচিত আছে। বর্তমান বি-গ্রুপের শেয়ার ১০% এবং বিসিআইসি ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ২০% শেয়ার আছে। বর্তমানে বি গ্রুপের ১০% শেয়ার মেসার্স মেহেমুদ ইকুইটিজ লিমিটেড এর নিকট বিক্রি হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিআইসি এর জিএম ও কোম্পানির পরিচালক জনাব সুভাষ অধিকারী বলেন, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নানা জটিলতার মধ্যে রয়েছে। প্রতিষ্ঠান রুগ্ন হওয়ার পরও কেন বড় আকারের শেয়ারের দাম উঠানামা করছে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এভাবে শেয়ারের দাম বাড়া উচিত না। এতে শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তিনি আরও বলেন, এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। কেউ জড়িত থাকলে তাহাকে নজরদারিতে আনা হবে। কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব রফিকুল মোরশেদকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায় নাই।

ইতিমধ্যে অনেকবার বিসিআইসিকে পত্রে মাধ্যমে শেয়ার ট্রানস্ফার বিষয়টি জানানো হয়েছে যা কোম্পানির বোর্ড সভায় মেসার্স মেহমুদ ইকুইটিজ লিমিটেড নামে শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

কোম্পানির অপর একটি বোর্ড সভায় শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড হতে এনওসি প্রাপ্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান এভিনিউ শাখা ঢাকা এনওসি করেন। এ প্রসঙ্গে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড গুলশান এভিনিউ শাখা বর্তমান ম্যানেজার মাহবুব শামীম বলেন, আমি এই শাখায় নতুন এসেছি। এখনো সবকিছু বুঝে উঠতে পারছিনা আপনি ব্যাংকে আসেন। তারপর কথা বলবো। কোম্পানির বোর্ড সভায় অর্থবছর ২০১৯-২০ (জুলাই-১৯ থেকে জুন-২০) এর হিসাব অনুমোদন হয়।

অন্য আরেকটি কোম্পানির বোর্ড সবাই মেসার্স মেহমুদ ইকুইটিজ লিমিটেডকে কর্পোরেট ডাইরেক্টর নিয়োগ করা হয় এবং বিএসইসি এর অনুমোদন সাপেক্ষে শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়টি অনুমোদন হয়। বর্তমানে শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে এবং বিদ্রুপের শেয়ার হস্তান্তরের জন্য জনাব ডঃ একেএম শাহাবুব আলমের অনুমোদিত কোন একটি ব্রোকারেজ হাউসে আছে।

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে তিনি একসাথে চারটি কোম্পানি ক্রয় করেছেন। মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ইহার বি গ্রুপের ১০% শেয়ার ক্রয় করেছে এবং অন্যান্য কোম্পানি গুলো ১০% শেয়ার ক্রয় করেছেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের আলাদা আলাদা ব্যাংক লোন করেছে বলে তাহার আর্থিক অবস্থা ভাল যাচ্ছে না। টাকার অভাবে ও অন্যান্য প্রতিকূলতার জন্য তিনি এখনো কোনো প্রতিষ্ঠান শেয়ার হস্তান্তর করে নিতে পারেন নাই। কারখানাগুলো গত দুই বছর যাবৎ প্রায় বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ব্যাংকগুলো খুব সাবধান ভাবে এগুচ্ছে।

আরো জানা গেছে যে ব্যাংক উৎপাদনের তাহার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তিনি নতুনভাবে এই ব্যবসায় নেমেছেন। ফলের তাহার উৎপাদন ম্যানেজমেন্ট ও বিক্রয় ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। তবে তিনি প্রতিষ্ঠানটি চালানোর চেষ্টা করছে। বিসিআইসি এর ম্যানেজার শামিম রানাকে ফোন দিলে তিনি জানান, আমি বান্দরবানে আছি। মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নানান সমস্যা আছে।

তথ্য অনুসারে আরো জানা গেছে যে, প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের লোন যথারীতি নিয়ম না থাকায় ও নানাবিধ সমস্যা থাকায় কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন করতে পারছেন না। ফলে প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এবং ব্যাংক লোন দিন দিন বাড়ছে। নাম না প্রকাশের শর্তে বিসিআইসির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১% ক্যাশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আর্থিক অসুবিধার জন্য এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ পুরোপুরি বা সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে পারে নাই। ইতিমধ্যে সাধারণ শেয়ার হোল্ডারগণ এর পক্ষ থেকে ডিএসই ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন এর নিকট নালিশ করেছে যা এখন জটিল আকার ধারণ করেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানির পিএফও জনাব ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমি একটা মিটিং এ আছি আপনাকে পরে ফোন দিবো। কিন্তু আর পরে ফোন দেন নাই।

প্রতিষ্ঠানের আর্থিক রিপোর্ট অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২০১৭-১৮ সালে ব্যাংক লোন ৭৩.৪১ কোটি । সুদ হয়েছে ৬.০৩ কোটি। বিক্রি হয়েছে ৮৪.৪৩ কোটি ইপিএস ১.০০। নেট অ্যাসেট পার ভ্যালু ১.৭১ টাকা। ২০১৮-১৯ সালে ব্যাংক লোন ৩৪.৬৮ কোটি। সুদ হয়েছে ৪.৯৩ কোটি বিক্রয় হয়েছে ৭.৬৪ কোটি। ইপিএস ০.২৩ নেট অ্যাসেট পার ভ্যালু ৩৮.৮৩ টাকা । ২০১৯-২০ সালে ব্যাংক লোন ৪০.১৫ কোটি। সুদ হয়েছে ৩.০২ কোটি। বিক্রয় হয়েছে ৯.২৯ কোটি। ইপিএস ৩.৬২। নেট পারভেজ ৩১.৯৩ টাকা।

চলতি অর্থবছরের ২০২০-২১ এর তিনটি কোয়ার্টার ইতিমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। এতে দেখা যায় যে, ইহার বিক্রয়ের পরিমাণ আরো কমেছে। চলতি অর্থবছর ২০২০-২১ বিক্রয়ের পরিমাণ ১ম কোয়াটার ৬.৩ কোটি। দ্বিতীয় পত্রের ২.৪২ প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে রিপোর্ট অনুযায়ী তৃতীয় তথ্য পাওয়া যায়নি। চতুর্থ কোয়াটার যেহেতু কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তা বিশষজ্ঞদের মতে বর্তমান পরিস্থিতি উৎপাদন উৎপাদন পুনরায় শুরু করা কঠিন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে প্রতিষ্ঠানটি গত ১৫/১০/২০২০ তারিখে প্রতিষ্ঠান লিয়েন ব্যাংক শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড গুলশান এভিনিউ শাখা-ঢাকা এর নিকট বর্তমান লোন লিমিট ৫৭.৩২ কোটি হতে বাড়িয়ে ৭২.০ কোটি টাকা আর্থিক সুবিধার আবেদন করেন। প্রতিষ্ঠান ব্যাংক লোনের সুদ কমবেশি প্রায় ৬ কোটি টাকা ও টার্ম লোনের কিস্তি বার্ষিক কমবেশি প্রায় ৬-৭ কোটি টাকা অর্থাৎ কমবেশি প্রায় ১২-১৩ কোটি টাকা উত্তোলন নিয়মিত রাখতে হলে প্রতি মাসে প্রায় এক কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করতে হবে। যা কিনা বিশষজ্ঞদের মতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব না।

প্রতিষ্ঠান উৎপাদন পুনরায় চালু করতে হলে কমপক্ষে ৮/১০ কোটি টাকা নিজস্ব ভাবে নগদ অবশ্যই অর্থায়ন করতে হবে। যেহেতু উদ্দেশে্য বিশ্বে করোনা চলছে। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে মেসার্স মেহমুদ ইকুইটিজ লিমিটেড এর পক্ষে পর্যাপ্ত স্থানীয় ও রপ্তানির কার্যাদেশ ব্যবস্থা করা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন পুনরায় চালু করা কঠিন বিষয়। তারা মনে করেন যদি নগদ প্রায় ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন ব্যাংকের সাপোর্ট নিতে পারেন যথাসময়ে পর্যাপ্ত অর্ডার সংগ্রহ পর্যাপ্ত কাঁচামাল সংগ্রহ ও দক্ষ জনবল নিয়োগ ও নিখুঁত ব্যবস্থাপনায় কারখানায় উৎপাদন করতে পারেন তাহলে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ বিক্রি করা যেতে পারে। যাহা অর্থ হচ্ছে ২০২১-২২ সালের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ বিক্রয়ের পরিমাণ ৩৫-৪০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ সালে সর্বোচ্চ পরিমাণ ৫৫-৬০ কোটি টাকা প্রতি বছর টার্নওভার উৎপাদন অনুযায়ী ৫০%। ২০২৩-২৪ সালের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮০-৯০ কোটি টাকা। প্রতি বছর টার্ন অ্যারাউন্ড উৎপাদন গ্রোথ অনুযায়ী সেলস ৫০%। যদি উক্ত টাকা বিক্রয় করতে পারে তাহলে কোন রকম খরচ সমান সমান হবে। ২০২৪-২৫ সালের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ বিক্রয়ের পরিমাণ ১০০-১২০ কোটি টাকা প্রতি বৎসর টার্ন-ওভার উৎপাদন অনুযায়ী ৩৪% যদি উক্ত টাকা বিক্রয় করতে পারে তাহলে সামান্য লাভ করা সম্ভব।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব