পিরোজপুরে কাউখালীতে মাছের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। রমজান মাসে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছে করে মাছসহ প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। প্রশাসন যখন অভিযান করে তখন দাম কিছুটা নাগালের ভেতরে থাকে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম ব্যবসায়ীরা মানছেন না।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে কাউখালী হাটের দিনে মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ ক্রেতারা মাছ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকে আবার মাছ না কিনে খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছ থাকলেও ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো ক্রেতাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত দামে মাছ বিক্রি করছেন। ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। রুই মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত, পাঙ্গাস মাছ ১৮০ টাকা, মরমা মাছ ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, শলা চিংড়ি ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা, পোমা মাছ ৩৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, কোরাল মাছ ৬৫০ টাকা, তাপসী মাছ ৭০০ টাকা, গুড়া মাছ ৩০০ টাকা, ঢেলা মাছ ৪০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছ অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী ও সাইদুল হোসেন বলেন, আমরা যে দামে মাছ ক্রয় করি তার চেয়ে সামান্য লাভে আমরা মাছ বিক্রি করি। বাজারে চাহিদার চেয়ে মাছের সরবরাহ কম তাই মাছের দাম একটু বেশি।
ক্রেতা মাহজুর রহমান বলেন, বাজারে যদি নিয়মিত মনিটরিং করা হতো তাহলে মাছের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের ভেতরে চলে আসত।
রিকশাচালক লিটন হোসেন বলেন, আমাদের পক্ষে বর্তমান বাজারে মাছ কিনে খাওয়া সম্ভব না। আমরা শুধু দেখেই যাব।
এক সংবাদকর্মী অভিযোগ করে বলেন, বাজারে প্রায় সময়ই মাছে রং দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কালার তৈরি করে অতিরিক্ত দামে মাছ বিক্রি করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা জানান, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। যদি কোনো ব্যবসায়ী ইচ্ছে করে অতিরিক্ত দামে মাছসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।