মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপির দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক মিত্র শিবসেনা।
আসন্ন বিধান সভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানিয়ে তারা নিজেদের প্রার্থী না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিবসেনার রাজ্যসভার সংসদ সঞ্জয় রউতের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিনিউজ।
খবরে বলা হয়, বিজেপির দীর্ঘদিনের শরিক ছিল শিবসেনা। তবে ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে বিবাদের পর বিচ্ছেদ হয় তাদের। তারপর থেকে একাধিকবার প্রাক্তন শরিক বিজেপিকে নিশানা করেছে শিবসেনা। ‘শত্রুর শত্রু বন্ধু’- এই নীতিতে এবার তারা বাংলায় তৃণমূলকে সমর্থন দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েক দিন আগে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। ওই বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছে তার দল। উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও তৃণমূলকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
এবার তৃণমূলের পাশে দাঁড়াচ্ছে শিবসেনা। শিবসেনার রাজ্যসভার সংসদ সঞ্জয় রউত জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না তারা।
টুইটারে উদ্ধব ঠাকরের দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রউত টুইট করেছেন,’পশ্চিমবঙ্গে শিবসেনার প্রার্থী দেওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে। দলের সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে দিদি বনাম বাকিরা লড়াই চলছে। মানি, মাসল ও মিডিয়াকে ‘ম’মতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। শিবসেনা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী দেওয়া হবে না। বরং মমতার দিদির পাশে দাঁড়ানোই শ্রেয়। তাঁর সাফল্য কামনা করি। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, তিনিই বাংলার আসল বাঘিনী।’
এদিকে শিবসেনার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল সংসদ সদস্য সৌগত রায়।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ভোটগ্রহণ। ৮ দফার ভোট শেষ হচ্ছে ২৯ এপ্রিল। ফলপ্রকাশ ২ মে।