মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) স্থানীয়দের তথ্যসূত্রে জানা যায় লালমোহন ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড মুন্সির হাওলা হাজী দলিল উদ্দিন মাঝি বাড়ির দরজায় নির্মিত লোহার পিলারের উপর সিমেন্টের ঢালাইকৃত ব্রিজ টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রিজ টি অনেক পুরোনো। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা সম্মুখীন হতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা ।
সরজমিনে, জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি দৈনিক দেশবানীকে জানায় লালমোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কোন গুরুত্ব নেই এইসবের প্রতি। ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বারের বাড়ির পাশে এতটা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যেটা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের যাতায়াত করা হয় । অথচ সেই রাস্তার উপরে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ আমাদের রিকশা চালাতে পর্যন্ত খুব ভয় লাগে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, অথচ এলাকার মেম্বার নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়
এইসবের প্রতি তার কোন ভূমিকেই নেই।
এদিকে ৭,৮,ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বারের হাজবেন্ড আব্দুল বারেক উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিসারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ।
৭,৮,ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোসাম্মত জয়নব বিবি পিনচু দৈনিক দেশবানীকে জানায় এটি লালমোহন গজারিয়া খালের উপর নির্মিত এই সিমেন্টের ঢালাইকৃত ব্রিজ টি খুবেই ঝুঁকিপূর্ণ এই খাল দিয়ে এক সময় বড় বড় ট্রলার নৌকার মাধ্যমে গজারিয়া বাজারের আশেপাশে সহ বিভিন্ন পন্য পরিবহন করা হতো।
বর্তমানে এই খাল দিয়ে স্বল্প পরিসরের পন্য পরিবহন করা হয়ে থাকে। আবার এইদিকের রাস্তায় ছোট ছোট কিছু পরিবহন ও ছোট-বড় ট্রাক টলির মাধ্যমে পন্য ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে চলাচল করতে হয় । এখন ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণের কারণে কোন ভারী পরিবহন তো থাকুক দূরের কথা সামান্য রিকশা যেত ভয় লাগে। ব্রীজটি মেরামত অথবা নতুন করার জন্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কিছুই করার নেই, কারণ এত বড় বাজেট আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। এত বড় বাজেট শুধু উপজেলা অফিস এবং এমপি মহোদয় করতে পারেন, ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রীজ ভেঙ্গে নতুন করে আধুনিক মানের ব্রিজ নির্মাণের জন্য লালমোহন ও তজুমদ্দিন অভিভাবক মাননীয় এমপি মহোদয় নূরনবী চৌধুরী শাওন মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বলে জানা তিনি।
এদিকে লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী, নির্বাহী অফিসার জানান এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের কথা কেউ তাদের জানাননি, এখন পর্যন্ত কোন প্রতিনিধি তাদের কাছে এই ব্যাপারে কথাই বলেনি। তবে এখন তারা এই ব্যাপারে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিবে বলে জানান।