প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজ শনিবারের তিন ঘণ্টার চাক্কা জ্যাম শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়েছে। দেশের কোনো অঞ্চল থেকে সহিংসতার খবর আসেনি। আজ দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চাক্কা জ্যাম হয় প্রধানত পাঞ্জাব ও হরিয়ানার ১৫ জেলার ৩৩টি সড়কে। সর্বত্র কৃষকদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও দিল্লিকে ওই আন্দোলনের আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছিল। এই ছাড়ের প্রধান কারণ আখ চাষ। ওই দুই রাজ্যে খেতের আখ চিনিকলে নিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখতে এই ব্যবস্থা। তা ছাড়া সরকারের দিক থেকে আলোচনার ডাক এলে কৃষকনেতারা যাতে যোগ দিতে পারেন, সেটা ছিল দ্বিতীয় কারণ। সেই ডাক অবশ্য আসেনি।
জাতিসংঘ এই বিতর্কের মাঝে টুইট করে কৃষকদের পাশাপাশি সরকারকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তবে পুলিশি প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল না। দিল্লিতে ৫০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। সীমান্তে নিশ্ছিদ্র ব্যারিকেডের পাশে ‘রায়ট পুলিশ’ অত্যাধুনিক বর্ম পরে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিয়ে হাজির ছিল। দিল্লি মেট্রোর ১০টি স্টেশন দুপুর থেকে বন্ধ করা হয়। ইন্টারনেটও বন্ধ। ড্রোন মারফত কৃষকদের ওপর নজরদারি চলে দিনভর।