করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন ঠেকাতে যশোর বিমানবন্দরে কড়াকড়ি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বেবিচক বলছে, যশোর বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে এক ওয়েবিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান এসব কথা বলেন। ‘মহামারিতে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টর: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক ওই ওয়েবিনারের আয়োজন করে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম (এটিজেএফবি)।
এদিকে বাংলাদেশে দুই ব্যক্তির শরীরে করোনার ভারতীয় ধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে খবরে এসেছে। তাঁরা দুজনই পুরুষ এবং উভয়ই সম্প্রতি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। দেশটি কিছুদিন ধরে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে বিশ্বে রেকর্ড গড়ছে। বিশেষজ্ঞরা ভারতীয় ধরনটিকে মারাত্মক বলে ধারণা করছেন।
ওয়েবিনারে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেবিচক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যশোর বিমানবন্দরে কড়াকড়ি করা হয়েছে। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোনো যাত্রী অসুস্থ পাওয়া গেলে তাঁকে ফ্লাই করা থেকে বিরত রাখা হবে।
মফিদুর রহমান বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট তো শুধু যশোরে না, দেশের যেকোনো স্থানেই এটি পাওয়া যেতে পারে। তবে যশোর বিমানবন্দরে যাতে এটি না ছড়ায়, সে সম্পর্কে সতর্ক আছে বেবিচক।
এদিকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বেড়েছে। ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত বন্ধ রয়েছে। স্থলপথে ভারত থেকে যাত্রী আসা–যাওয়া বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকবে। শনিবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অন্য এক ভার্চ্যুয়াল সভায় স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।