1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন

বোয়ালখালীতে সদ্য গড়া সরস্বতীর প্রতিমাগুলো ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে আসন্ন সরস্বতী পূজা উপলক্ষে গড়া ৩৫টি সরস্বতী প্রতিমা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার পূর্ব শাকপুরার ঐতিহ্যবাহী লালার হাট আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে। মৃৎশিল্পী বাসুদেব পাল এসব প্রতিমা বিক্রির জন্য গড়েছিলেন।

জানা গেছে, ব্রিটিশ আমল থেকে ওই এলাকায় প্রতিমা গড়ে আসছিলেন মৃৎশিল্পী হরিপদ পাল ও তাঁর ছেলে বাসুদেব পাল। হরিপদ পাল মারা যাওয়ার পর বাসুদেব পাল এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন।

বাসুদেব পাল বলেন, লালার হাটে প্রতিবছর তিনি প্রতিমা গড়ে আসছেন। ৮৫ বছর ধরে তাঁরা এ এলাকায় প্রতিমা তৈরি করে আসছেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রতিমাগুলো বানানো হচ্ছিল। উন্মুক্ত স্থানে বাঁশের বেড়ার মাধ্যমে ঘিরে সাদা পর্দায় ঢেকে নির্মাণাধীন প্রতিমাগুলো রাখা ছিল। আগে কোনো সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আজ শনিবার সকালে তাঁর গড়া ৩৫টি সরস্বতী প্রতিমা ভাঙা দেখতে পান। এর বেশির ভাগই অগ্রিম বায়না নেওয়া।

খবর পেয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. কবির আহমেদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম ও বোয়ালখালী পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্যসচিব অমিত লালা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা সুদীপ্ত বিশ্বাস বিভু বলেন, ‘বাসুদেব পাল আমাদের গ্রামে সরস্বতীর মূর্তি গড়েন। ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাঁই দাঁড়িয়ে থেকে বাসুর মূর্তি গড়া দেখতাম। সবাইকে বিশ্বাস করে বাসু প্রতিমাগুলো রাখেন উন্মুক্ত স্থানে। কখনো পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। কে বা কারা রাতের আঁধারে ভেঙে দিয়েছে বাসুর গড়া সরস্বতী প্রতিমা।’

বোয়ালখালী পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্যসচিব অমিত লালা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই এলাকায় একটি কুচক্রি মহল পরিকল্পিতভাবে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। বাসুদেব পালের গড়া প্রতিমা ভাঙচুর করে দীর্ঘদিনের বিশ্বাসকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘কারখানা বলা হলেও রাস্তার পাশে উন্মুক্ত স্থানে অরক্ষিতভাবে প্রতিমাগুলো রাখা হয়েছিল। কেউ পরিকল্পিতভাবে প্রতিমাগুলো ভেঙেছে বলে মনে হয়নি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ছোট বাচ্চারা হয়তো খেলার ছলে বা ঠেলাগাড়ি, মিনিট্রাকে বাঁশ নেওয়ার সময় অন্ধকারে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’ প্রতিমা রক্ষায় এখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব