রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি প্রায় ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ডুবে যাওয়া যানটিকে ওপরে তোলার পর এটাকে তীরে নিয়ে আসা হয়। আটক করা হয়েছে বাল্কহেডের চালক ও সহকারীদের। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক শিশুসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচজনকে।
রোববার রাতে সোয়া আটটার দিকে কেরাণীগঞ্জ থানার তেলঘাট এলাকায় বালুবোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়। সোমবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে, উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান মারুফ, দৈনিক দেশবাণীকে জানান, বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়। ওয়াটার বাসে ৫০ জনের মত যাত্রী ছিলেন। ২৫ জনের মতো সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের দুইজন পুরুষ, একজন নারী এবং একজন শিশু। এছাড়া ৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। জীবিত উদ্ধারদের মধ্যে পুরুষ ৪, নারী ৩ একজন শিশু রয়েছে। উদ্ধার করা পুরুষদের মধ্যে দুইজন অচেতন ছিলেন।
রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া) শাজাহান সরদার বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের দুটি ও সিদ্দিকবাজার থেকে একটি ইউনিট ডুবুরিসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। অধিকাংশ লোক তীরে উঠে গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তিনি।
প্রত্যদর্শীরা ও বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানান, ওয়াটার বাসটি রাজধানীর লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটে যাচ্ছিলো। মাঝনদীতে এলে এটি এমভি আরাবি নামে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
কেরাণীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সল বিন করিম জানান, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা, আর আহতদের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।