বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে উঠার আগে অবশ্যই করোনা ভ্যাকসিন নিতে হবে। হল খোলার আগেই আবাসিক শিক্ষার্থী, আবাসিক হলের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকার ব্যবস্থা করা হবে। তবে কারও যদি স্বাস্থ্যগত (মেডিকেল কারণে) কারণে টিকা না নেওয়ার মতো অবস্থা থাকে, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে। অর্থাৎ, তারা হলে থাকতে পারবেন।
সোমবার দেশের উচ্চশিক্ষা নিয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা দেশের সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস শুরু হবে ঈদুল ফিতরের পর (আগামী ২৪ মে থেকে)। তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। তবে হলের ওঠার আগেই আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২৪ মের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে অনলাইনে ক্লাস চলবে। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ পেছানো হবে। করোনার কারণে বয়স অতিক্রম হয়ে যাওয়া কোনো পরীক্ষার্থী যেন এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ৪৩তম বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম চলছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ বিসিএসের আবেদন চলবে। ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ৬ আগস্টে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে পিএসসি।
বর্তমানে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল খোলার দাবিতে আন্দোলন করছেন এবং কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলে উঠে গেছেন। এ অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী জানালেন, যারা হলে আছেন, তাদের অবিলম্বে হল ত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া কেউ যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করেন, তবে এর দায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ্রহণ করবে না।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, হল খোলার আগে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ভর্তি পরীক্ষার তারিখও এই নতুন খোলার (বিশ্ববিদ্যালয় খোলার) তারিখের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করা হবে। তড়িঘড়ি করে ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের করোনার নিয়ন্ত্রণের যে সাফল্য, তা নষ্ট করে দেওয়া যেতে পারে না। সরকারি ও বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এসব সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে।
বর্তমানে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কার্যকর আছে। এ ছাড়া অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১০৭টি। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মোট ২২০টি আবাসিক হল আছে। এর মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থী প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার।