দক্ষিণ চীন সাগরে ২২০ টির মতো চীনা জাহাজের উপস্থিতি শনাক্ত করার দাবি করে এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ফিলিপাইন।
শনিবার ফিলিপাইন সরকারের একটি টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গত ৭ মার্চ চীন সাগরের একটি দ্বীপ এলাকার কাছে চীনা নৌবাহিনীর সদস্যদের পরিচালিত ২২০টি জাহাজ শনাক্ত করেছে তারা।
ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিওডোরো লোকসিন বলেছেন, আমার মতে পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীগুলোই ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
রোববার এ ব্যাপারে চীনা পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরের নিকটবর্তী দক্ষিণ চীন সাগরের আয়তন প্রায় ৩৫ লাখ বর্গকিলোমিটার। সিঙ্গাপুর থেকে মানাক্কা প্রণালী ঘুরে তাইওয়ান প্রণালী পর্যন্ত বিশাল এলাকা নিয়ে এর বিস্তৃতি।
দক্ষিণ চীন সাগরের চারপাশ ঘিরে রয়েছে তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও ফিলিপাইন। বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বাণিজ্যিক জাহাজ এ সাগরের ওপর দিয়ে চলাচল করে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ সাগরের তলদেশে সঞ্চিত রয়েছে তেল ও গ্যাসের বিশাল ভাণ্ডার, তাই সাগরের মালিকানা নিয়ে উপকূলীয় দেশগুলো বিশেষ করে চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনের মধ্যে বিরোধ চলছে।
অর্থনৈতিক স্বার্থেই এ অঞ্চলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। তাদের লক্ষ্য যেকোনো মূল্যে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক উত্থানকে প্রতিহত করা।
কয়েক বছর ধরে তথাকথিত নাইন-ড্যাশ লাইনের অধীনে দক্ষিণ চীন সাগরের পুরোটাই দাবি করে আসছে চীন। এর অধীনে কয়েক বছরে তারা বিরোধপূর্ণ অন্তরীপে বেশ কিছু সামরিক স্থাপনা তৈরি করেছে।
ওই অঞ্চল চীনের নয় বলে রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক একটি আদালত। এ অঞ্চলের দাবিদার ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
ফিলিপাইন এ বিষয়ে দ্য হেগের আদালতে উত্থাপন করেছে এ বিষয়টি। এরপর ল’ অব দ্য সি বিষয়ক জাতিসংঘের কনভেনশনের অধীনে ৩৭০.৪ কিলোমিটারের মধ্যে (২০০ নটিক্যাল মাইল) ওই অঞ্চলের অধিকার পায় ফিলিপাইন।