1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে ফিরে যেতে হবে: মির্জা ফখরুল ইসলামাবাদের সব মার্কেট বন্ধ ঘোষণা, বড় অভিযানের শঙ্কা শেখ হাসিনাসহ অর্ধশতাধিকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের অভিযোগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না : তারেক রহমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টারি গ্রুপের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে আবারও পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম আসছে পণ্যবাহী সেই জাহাজ বাংলাদেশ ব্যাপক শ্রম সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস তাহসানকে পেয়ে আনন্দিত শাকিব খান বিস্ফোরক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান নারায়ণগঞ্জে এয়ার ফ্রেশনার রিফিলের সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১০

বিদেশি চ্যানেল ‘ক্লিন ফিড’ করবে কে?

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১

১ অক্টোবর থেকে দেশে বিজ্ঞাপনসহ কোনো বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার করা যাবে না, সরকার এমন নির্দেশনা আগেই দিয়েছিল। এর ছয় মাস আগে এপ্রিলে একবার সরকার এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা পিছিয়ে ১ অক্টোবর করা হয়।

এবার সরকার ছিল কঠোর অবস্থানে। ফলে এই দিন থেকেই বাংলাদেশ থেকে কোনো বিদেশে চ্যানেল দেখা যাচ্ছে না। কেবল অপারেটর, ডিটিএইচ সংযোগের মাধ্যমে বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। সরকার বলছে যাদের মাধ্যমে দর্শক বিদেশি চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন, তারাই ওই বিদেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপন ছাড়া সম্প্রচার করবে। বিজ্ঞাপন ছাড়া বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার নেই।

সরকারের নির্দেশনা যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ঘোষণাও আগেই ছিল। গতকাল শুক্রবার থেকে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফলে গতকাল শুক্রবার দিনের শুরুতে প্রথমে কেবল অপারেটরেরা, রাতে ডিটিএইচ সংযোগ প্রদানকারীরা সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। ফলে বিপাকে পড়েছেন দর্শকেরা। তারা এখন বাংলাদেশি টেলিভিশন ছাড়া বিদেশি কোনো চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন না।

বিনোদনভিত্তিক, শিক্ষামূলক বা সংবাদভিত্তিক সব ধরনের বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে আছে।

সবার জানার আগ্রহ এর সমাধান কোথায়? বিদেশি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপনমুক্ত কে করবে?

সরকার বলছে তাদের করণীয় কিছু নেই। বিজ্ঞাপনসহ চ্যানেলের সম্প্রচার দেশের জন্য ক্ষতির কারণ হচ্ছে। অন্যদিকে কেবল অপারেটরেরা বলছেন, বিজ্ঞাপন ছাড়া (ক্লিন ফিড) চ্যানেলের সম্প্রচার করা তাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
ক্লিন ফিডের মানে হচ্ছে অনুষ্ঠানের ফাঁকে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশে যেসব বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার হয়, সেগুলোতে কমবেশি বিজ্ঞাপন থাকে। ফলে বিদেশি সব চ্যানেলের সম্প্রচার গতকাল থেকে আজ শনিবার এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে।

কেবল অপারেটরেরা বলছেন, মোটা দাগে ৬৫-৬৭০টি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ আছে। বিজ্ঞাপন দেখায় না এমন চ্যানেল আছে বলে তাদের জানা নেই।

ক্লিন ফিড করবে কে?
একটি দেশে ক্লিন ফিড বা বিজ্ঞাপন ছাড়া বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার হবে এটাই নতুন কোনো ধারণা নয়। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপালেও ক্লিন ফিড বা বিজ্ঞাপন ছাড়া বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার হয়। তা হলে প্রশ্নে উঠেছে বাংলাদেশে সমস্যা কোথায়?

দুই ভাবে এটি হতে পারে। যেসব বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচার হয় সেসব চ্যানেল কাস্টমাইজ করে অর্থাৎ বাংলাদেশে তাদের চ্যানেল বিজ্ঞাপনহীন করে ডাউনলিংক করার ব্যবস্থা করতে পারে। অথবা বাংলাদেশে যারা স্যাটেলাইট থেকে চ্যানেল ডাউনলিংক করেন তারা চ্যানেলে অনুষ্ঠানের ফাঁকে থাকা বিজ্ঞাপন বাদ দিতে পারেন।

কেবল অপারেটেরা বলছেন, চ্যানেলগুলো বাংলাদেশের জন্য আলাদা ফিড দেবে এটা অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবসম্মত নয়। এতে যদি ওই চ্যানেলের এ দেশে সম্প্রচারের ব্যাপক ভাবে আর্থিক লাভের সুযোগ না থাকে তাহলে সেটি তারা করবে না। এরপর থাকল বাংলাদেশে যারা ডাউনলিংক করছে অর্থাৎ কেবল অপারেটর বা ডিটিএইচ সংযোগকারী।

বাংলাদেশ কেবল অপারেটরদের সংগঠনের সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, আমাদের (কেবল অপারেটর) অবস্থান হচ্ছে চ্যানেল ক্লিন ফিড করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। বাংলাদেশে লাইসেন্সধারী কেবল অপারেটরের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের বেশি। সব মিলিয়ে এই চার-সাড়ে চার হাজারের মতো। বেশির ভাগ অপারেটরদের সংযোগ সংখ্যা ১৫০-২০০ বা ২৫০-৩০০। ফলে চ্যানেল ক্লিন ফিড করে চালানো কেবল অপারেটরদের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, প্রায় ৫ লাখ মানুষ এ খাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত। সরকারকে এই দিকটাও বিবেচনা করা দরকার। তিনি বলেন, আমাদের দিক থেকে যেহেতু করার কিছু নেই, তাই সরকার পরবর্তীতে যেটা করতে বলবে, সেটাই করা হবে।

এক সময় বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন সম্প্রচারের সঙ্গে যুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, চ্যানেলের দুটি অংশ থাকে। একটি আপলিংক, অন্যদিকে ডাউনলিংক। চ্যানেল মালিক বা ব্রডকাস্টার তাদের চ্যানেল স্যাটেলাইটে আপলিংক করেন। আর কেবল অপারেটরেরা স্যাটেলাইট থেকে তা ডাউনলিংক করে। এর মাঝামাঝি আর কিছু নেই। বাংলাদেশের অপারেটরা সব চ্যানেল ডাউনলিংক করে ‘রিয়েল টাইমে’ সম্প্রচার করে। বিজ্ঞাপন মুক্ত করে রিয়েল টাইমে চ্যানেল সম্প্রচার করা তখন অপারেটরদের পক্ষে সম্ভব না। আর চ্যানেল ক্লিন ফিড করে পরে সম্প্রচার করা কেবল অপারেটরদের জন্য ব্যয়বহুল এ কারণে তারা এটা করতে চান না। তবে এই কর্মকর্তা বলেন, মূলত কাজটা যারা ডাউনলিংক করে তাদেরই। অর্থাৎ কেবল অপারেটর, ডিটিএইচ সংযোগকারীদের।

সরকারের এ ক্ষেত্রে ভূমিকা কী হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার হয়তো আর্থিক সহায়তা দিতে পারে। কিন্তু চ্যানেল ক্লিন ফিড করে দেওয়াটা আমি যতটুকু বুঝি সরকারের কাজ নয়। অন্যান্য দেশেও এমনটাই হয়।

অবশ্য এ ব্যাপারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, চ্যানেল ক্লিন ফিড কেবল অপারেটর বা ডিস্ট্রিবিউটরদের করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের কিছু নেই। তিনি বলেন, ক্লিন ফিড না হওয়ায় দেশের ক্ষতি হচ্ছে।

ক্লিন ফিড না হলে ক্ষতি কোথায়?
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অন্যতম মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাংলাদেশে টেলিভিশন চ্যানেলের দর্শকদের মধ্যে একটি বড় অংশ ভারতীয় বিভিন্ন চ্যানেলের দর্শক। এ ছাড়া বিদেশ সিনেমা দেখানো হয় এমন চ্যানেলেরও দর্শক রয়েছে। এসব চ্যানেলে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। ওই বিদেশি পণ্য বাংলাদেশের বাজারেও বিক্রি হয়। সে ক্ষেত্রে এই পণ্য দিয়ে বাংলাদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন না পণ্য আমদানিকারকেরা। এতে দেশীয় চ্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশীয় চ্যানেলে বিজ্ঞাপন আসলে বাংলাদেশ সরকার ট্যাক্স পায়। সে ক্ষেত্রে সরকারও লাভবান হয়।

সরকার বলছে, বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্ত না হওয়ায় এ খাতে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব