তবে নভেম্বরে দেশে ও বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে মোট লেনদেন কমেছে। ওই মাসটিতে দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডে মোট খরচ হয়েছে ৪৩১ কোটি টাকা, যা অক্টোবরে ছিল ৪৯৯ কোটি টাকা। একই মাসে দেশের ভেতরে মোট খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা আগের মাসে ছিল ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা।
এসব লেনদেনের মধ্যে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি, খুচরা দোকানে ৪০৬ কোটি, ইউটিলিটি বাবদ ২৪৬ কোটি, নগদ উত্তোলন ১৯৬ কোটি, ফার্মেসিতে ১৬৪ কোটি, কাপড় কেনায় ১৪৮ কোটি, ফান্ড স্থানান্তর ৭৫ কোটি, পরিবহনে ৯৮ কোটি, বিজনেস সার্ভিসে ৫৭ কোটি, প্রফেশনাল সার্ভিসে ২১ কোটি ও সরকারি সেবায় খরচ হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।
দেশের ভেতরে নভেম্বরে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে ১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা, মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে ৫১৫ কোটি টাকা, অ্যামেক্সের মাধ্যমে ২৯৫ কোটি টাকা, ডিনার্সের মাধ্যমে ২ কোটি টাকা ও কিউক্যাশ প্রোপ্রাইটরের মধ্যে খরচ হয়েছে ১ কোটি টাকা।
বিশ্বজুড়েই দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ক্যাশলেস মাধ্যম। ২০২৭ সালের মধ্যে দেশে সামগ্রিক লেনদেনের তিন-চতুর্থাংশ ক্যাশলেস করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল এবং নন-ফাইন্যান্সিয়াল ব্যাংক বিভিন্ন অ্যাপ এবং অন্য ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি ও ডিজিটাল করার জন্য কার্ড অনস্বীকার্য। ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিনে (সিআরএম) রেকর্ড টাকা লেনদেন এবং পয়েন্ট অব সেলসের (পিওএস) মাধ্যমেও আগের চেয়ে বেশি কেনাকাটা করছেন গ্রাহক।
তথ্য বলছে, গত নভেম্বরে বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেছেন ৪৩১ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস অক্টোবরে ছিল ৪৯৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে নভেম্বরে বিদেশে খরচ কমেছে ৬৭ কোটি টাকা।
বিদেশে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছেন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ১২৫ কোটি, খুচরা দোকানে ৭৬ কোটি, নগদ উত্তোলন ২০ কোটি টাকা, ফার্মেসিতে ৪৫ কোটি টাকা, কাপড় কেনায় ৩৪ কোটি টাকা, পরিবহনে ৩৯ কোটি টাকা, ব্যবসায় সেবা বাবদ ৩১ কোটি টাকা, সরকারি সেবায় ২০ কোটি টাকা, প্রফেশনাল সার্ভিস ২৪ কোটি টাকা ও ইউটিলিটি বাবদ ১৩ কোটি টাকা।