আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই বিএনপির পদযাত্রা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) খুব একটি আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
রোববার (১৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি কমিশনার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, আমরা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে গত ১২ জুলাই আমরা যে এক দফা দাবি করেছি, সেই দাবি আদায়ের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলোচনাটি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা আগামী ১৮ এবং ১৯ জুলাই দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। এর মধ্যে একটি হলো গাবতলী থেকে শুরু করে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা। আরেকটি হলো উত্তরা আবদুল্লাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত। এ পদযাত্রা নিয়ে ওনাদের (ডিএমপি) খুব একটি আপত্তি নেই। আমরা ওনাদের সহযোগিতা কামনা করেছি, আশা করি আমাদের সহযোগিতা করবেন।
পদযাত্রার রুট নিয়ে ডিএমপির কিছু পরামর্শ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এটাকে সমন্বয় করে নেব। খুব একটি সমস্যা হবে না। ওনারা ওই দিনের পদযাত্রার রুটটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে থেকে ডাইভার্ট করে অন্যদিকে নিতে বলেছেন। এটি আমরা আমাদের দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। আগামী ২২ জুলাই বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ রয়েছে। সেটি আমাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। আমার এই ব্যাপারেও ওনাদের (ডিএমপি) সহযোগিতা কামনা করেছি।
এ্যানি বলেন, আমরা আন্দোলনে মাঠে রয়েছি। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের যে দাবি, একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা যে নামেই হোক না কেন, সেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এটিই মুখ্য। আমরা দেশে একটি শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সে জন্য আমরা এক দফা ঘোষণা করেছি। আমরা আশা করবো এই সরকার, পদত্যাগ করবে সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
ADVERTISEMENT
ডিএমপির পক্ষ থেকে পদযাত্রার জন্য মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না? -জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখানে আমরা অনুমতি চাইনি। আমরা তাদের অবহিত করেছি। যেখানে সামনা-সামনি সৌজন্যমূলক আলোচনা হচ্ছে, সেখানে আমরা তাদের (ডিএমপি) সহযোগিতা চেয়েছি। ওনারা (ডিএমপি) সহযোগিতা করবেন। পাশাপাশি আমাদের একটি বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রতিটি স্পটে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করবে। আমরা সম্পূর্ণভাবে একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি। জনগণকে সম্পৃক্ত করার মধ্য দিয়ে দেশে যে কঠিন এবং কঠোর আন্দোলন করতে চাচ্ছি আমরা, সেটি বেগবান করবো, শক্তিশালী করবো। আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং সরকার পদত্যাগ করবে।
পদযাত্রার মাইকিং করা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? -জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওনারা (ডিএমপি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের পরামর্শ দিয়েছেন। কোনো আপত্তি নেই, অসুবিধা নেই। তারা সহযোগিতা করবেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিএনপির প্রতিনিধি দলটি ডিএমপি কার্যালয়ে যায়।
এ সময় প্রতিনিধি দলে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ছাড়াও ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।