ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী নৈশকোচে যাত্রীবেশে ডাকাতি করার সময় নাজমুন নাহার রিপা (৩০) নামে এক নারী ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি দল। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৬টি চাকু উদ্ধার হয়।
সোমবার (৪জানুয়ারি) ভোর ৫টায় দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মাহাসড়কের নবাবগঞ্জ মতিহারা ব্রীজের কাছে রোজিনা পরিবহন থেকে ওই নারী ডাকাতকে আটক করা হয়। নাজমুন নাহার রিপা দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলার বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম সেলিম শেখ। বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মিথুন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন,রানিশংকৈল উপজেলার জসিম উদ্দিনের ছেলে অলিন,ঠাকুরগাঁও জেলার আব্দুল গফ্ফারের ছেলে জুয়েল রানা ও নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়নাল আবেদিনের ছেলে জামাল হোসেন।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মিথুন সরকার বলেন, রবিবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে ঢাকা মেট্রো-ব ১৪৫০২১নাম্বারের রোজিনা পরিবহনের বাসটি যাত্রী নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশংকৈলে যাচ্ছিল। ওই বাসে ৮ জন ডাকাত যাত্রীবেশে ওঠে পড়ে। পথে গোবিন্দগঞ্জ থেকে দিনাজপুর আসার সময় তারা যাত্রীদের জিম্মি করে ডাকাতি শুরু করে। ডাকাত দল ড্রাইভারকে ওঠিয়ে দিয়ে গাড়িটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। পথে কাটাবাড়ি এলাকায় গাড়ীর সহকারি লাফ দিয়ে ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন।
তিনি বলেন, ওই ব্যক্তির ফোন পেয়ে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ গাড়িটির পিছু নেয়। এদিকে বিরামপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার নবাবগঞ্জ থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের দলার দরগা বাজারে গাছের গুড়ি দিয়ে রাস্তা অবোরোধ করে। পরে,গাড়ীটি মতিহারা বাজারের অদুরেই মতিহারা ব্রিজের পাশে রেখে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এসময় ধাওয়া করে ডাকাত দলের ওই নারী সদস্যকে আটক করা হয়।
পরে,ওই নারী ডাকাত এবং গাড়ি থেকে ৫টি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়। এসময় পাশের একটি ক্ষেত থেকে রক্তাক্ত আরেকটি চাকু উদ্ধার করা হয়। আটক নারীকে নবাবগঞ্জ থানায় নেওয়া হয়েছে।
সার্কেল এএসপি বলেন,‘আটক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়া ডাকাত দলকে আটকে চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।