কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান ২০ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে গেছেন। ওই দিন বাদ আসর জুরাইন কবরস্থানে বড় ছেলের পাশে তাকে দাফন করা হয়। গুণী এ অভিনেতার মৃত্যু অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না।
মৃত্যুর এক মাস আগে এটিএম শামসুজ্জামানের ভাই রতন জামানের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয় ‘এটিএম শামসুজ্জামান তার বিভিন্ন পদক, সনদ, সম্মাননা, ক্রেস্টসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র বস্তাবন্দি করে ফেলতে বলেছিলেন’ । এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেন এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কেতকী আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘চাচা রতন জামান যে তথ্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভুল। আমার মা রুনা জামান ছাড়া অন্য কারো কথা বিশ্বাস করবেন না।’
বাবার বিষয়ে মায়ের কথা ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করবেন না
বাঙ্গালীর খবর অনলাইনের সঙ্গে কথা হয় এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কেতকী আহম্মেদের সঙ্গে। নিচে চম্বুক অংশটুকু তুলে ধরা হলো।
বাঙ্গালীর খবর: আপনার বাবার বিভিন্ন অর্জনে পাওয়া সম্মাননা পুরস্কার নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া সংবাদে আপনার অভিমত কী?
বাবার বিষয়ে মায়ের কথা ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করবেন না
কেতকী আহম্মেদ: বাবার বিভিন্ন অর্জনে পাওয়া সম্মাননাগুলো নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে আমরা খুবই ব্যথিত হয়েছি। বাবার সব সম্মাননাগুলো আমরা ধরে রাখবো। বাবাকে নিয়ে কোনো তথ্য জানতে চাইলে আপনারা আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলবেন।
বাঙ্গালীর খবর: আপনার বাবার শেষ ইচ্ছে কী ছিল?
বাবার বিষয়ে মায়ের কথা ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করবেন না
কেতকী আহম্মেদ: বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল দেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অনেক বড় বাজেটের একটি ছবি বানানো। কিন্তু সেই ইচ্ছে পূরণ হলো না বাবার। আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে বাবা চলে গেছেন পরকালে।
বাঙ্গালীর খবর: আপনার বাবা জীবনের শেষ সময়গুলো কেমন কাটালেন?
বাবার বিষয়ে মায়ের কথা ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করবেন না
কেতকী আহম্মেদ: বাবা এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি কখনোই মনোবল হারাতেন না। নিজের ওষুধ ঠিক সময় মতো নিজেই খেতেন। তবে হাসপাতালে থাকতে চাইতেন না। শুধু বাসায় থাকতে পছন্দ করতেন। এছাড়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন, বই পড়তেন।
বাঙ্গালীর খবর: আপনার বাবার বন্ধু কারা ছিলেন?
বাবার বিষয়ে মায়ের কথা ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করবেন না
কেতকী আহম্মেদ: আমার বাবার পরম বন্ধু ছিল বই। তিনি বইকেই বলতেন তার পরম বন্ধু। এছাড়া পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া তার নিজের লেখাগুলো নিয়ে তৈরি করা অ্যালবামটাই ছিল তার বড় বন্ধু। তবে ওনার সংস্কৃতি অঙ্গনে অনেক বন্ধু ছিল।
বাঙ্গালীর খবর: আপনার বাবা কেমন জীবন কাটাতে পছন্দ করতেন?
বাবার বিষয়ে মায়ের কথা ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করবেন না
কেতকী আহম্মেদ: বাবা খুবই সহজ-সরল জীবন-যাপন করতে পছন্দ করতেন। এক কথায় সাদামাঠা জীবন কাটাতেন বাবা। সময় পেলেই বই পড়তেন এবং লেখালিখি করতেন।