জানা যায়, ঐ মাদ্রাসার সভাপতি নাসির উদ্দিন সালমান, অধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ ও প্রভাষক মোস্তাকুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য, ভূয়া গর্ভানিং বডি গঠন, দুর্ণীতি, অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় ওয়াহেদ খান নামের এক ব্যক্তি। দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মো. সিদ্দিকুর রহমানের নির্দেশে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
গতকাল মঙ্গলবার দিনভর ঐ মাদ্রাসায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায়। তদন্তকালীন সময়ে অভিযুক্ত সভাপতি নাসির উদ্দিন সালমান উপস্থিত ছিলেন না। অত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ আনিত অভিযোগের স্বপক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
এসময় সভাপতি সালমানসহ তিন জনের সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও হয়রানির বিষয় তদন্ত কমিটির কাছে তুলে ধরেন স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ ও ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী এবং তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে কমিটি।
উল্লেখ্য, ঐ মাদ্রাসাটির কমিটির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এজন্য সভাপতি, অধ্যক্ষ ও প্রভাষক কমিটির অন্য কোন সদস্যকে না জানিয়ে গোপনে ২ জন সদস্যের একটি ভূয়া গর্ভানিং বডি তালিকা তৈরি করে। নিজেদের ভোটার বানাতে ঐ তালিকায় ৯ম শ্রেণির ছাত্র ইসরাইল (রোল-২৯), পিতা- ইকবাল হোসেন নামের একজন মৃত ব্যক্তিকে অভিবাবক সদস্য এবং ৯ম শ্রেণির ছাত্র রেজাউল মুন্সি (রোল-৪১) যে কিনা ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীই না তার পিতা আবুয়াল মুন্সিকে অভিবাবক সদস্য বানানো হয়। বর্তমান সভাপতি নাছির উদ্দিন সালমান এলাকায় দুর্ণীতিবাজ নামে পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন সভাপতি পদে থাকা অবস্থায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন লোককে চাকুরি দেয়ার কথা বলে লাক্ষ লাক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মাদরাসার সভাপতি, অধ্যক্ষ ও প্রভাষকের দুর্ণীতির অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানান তদন্ত কমিটি।