শপিংশল ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার ঘোষণায় মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
শনিবার সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ আরও বাড়ছে।
বাংলাবাজার ফেরিঘাটের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, লকডাউনের শুরু থেকেই লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু এই সুযোগে দুইপাড় থেকেই কিছু অবৈধ ট্রলার দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে। সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ আরও বাড়ছে।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে অনেক ক্ষেত্রে যাত্রী চাপে জরুরি যানবাহন পারাপারও ব্যাহত হচ্ছে।
মাত্র ৫টি ফেরি দিয়ে পারাপার চলছে। অধিকাংশ ফেরি, সব লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিগুলোতে যাত্রীর ভিড় বাড়ছে। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে চরমভাবে।
ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত যানবাহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সারি রয়েছে। কোথাও দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষণ।
মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। লঞ্চ বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্পিড-বোট ও ট্রলারে পারাপার হচ্ছে।
ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশাল থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গোপালগঞ্জ ৫০০ টাকা, খুলনা ৭০০ টাকা, মাদারীপুর ২০০ টাকা,বাগেরহাট ৬৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল থেকে আসা যাত্রী আনোয়ার হোসেন জানান, ৬০০ টাকা খরচ করে অনেক কষ্টে বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌঁছেছি। এখানে এসে ফেরির জন্য অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি।
বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার সালাউদ্দিন মিয়া জানান, লকডাউনের কারনে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-রুটে মাত্র ৫-৬টি ফেরি দিয়ে জরুরি পরিবহন পারাপার করা হচ্ছে, যাতে মরদেহ রোগীবাহী এবং বিদেশগামী যাত্রী পারাপার সম্ভব হয়। কিন্তু আজ যাত্রী চাপ বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন পারাপারে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।