বাংলাদেশকে আরো ১৮ লাখ ডোজ ফাইজারের করোনা টিকা উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এনিয়ে বাংলাদেশকে মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ টিকা ডোজ উপহার দিল দেশটি। বুধবার বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন এই ডোজগুলো ১২ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সীদের কভিড টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহতভাবে সম্প্রসারণে এবং ২০২১ সালের শেষ নাগাদ টিকা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত জনসংখ্যার ৪০ শতাংশকে টিকাদানের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় কভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা ও মহামারি মোকাবেলা জোরদারকরণে সহায়তা করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে ৬,৮০০-এরও বেশি স্বাস্থ্যসেবাদানকারীকে নিরাপদে টিকাদান বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সঠিক নিয়ম মেনে কভিড-১৯ টিকা সংরক্ষণে সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশজুড়ে টিকা পরিবহনের সুবিধার্থে ১৮টি কোল্ড-চেইন ফ্রিজার ট্রাক অনুদান দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার টিকা অনুদান ও সহায়তা ছাড়াও কভিড-১৯ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে আরো ১২১ মিলিয়ন ডলার বা ১,০২৮ কোটি টাকারও বেশি অনুদান সহায়তা দিয়েছে। এই সহায়তা মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে এবং কভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছে, পরীক্ষা করার সামর্থ্য ও মনিটরিং শক্তিশালী করেছে, কভিড রোগী ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন উন্নত করেছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষা প্রদান করেছে এবং কভিড-১৯ থেকে নিজেকে রক্ষার উপায়সহ এই বিষয়ে জনগণকে অবহিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে ৪ বিলিয়ন ডলার বা ৩৪ হাজার কোটি টাকা সহায়তা করেছে। যার মধ্যে আল্ট্রা-কোল্ড চেইন সংরক্ষণ, পরিবহন, কভিড টিকার নিরাপদ ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ টিকার ন্যায়সঙ্গত প্রবেশগম্যতা তৈরিতে বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত হয়েছে।