ছোট ছেলের বিয়ে হয়েছে। সুখী সংসার তাদের। বড় ছেলের বয়স ৩২। কিন্তু বিয়ে দিতে পারছিলেন না বাবা-মা। তার উচ্চতা যে মাত্র ৪০ ইঞ্চি! বামন ছেলেকে নিয়ে তাই দুশ্চিন্তার কমতি ছিল না।
শেষ পর্যন্ত দূর হলো তা। পাওয়া গেল প্রায় সমউচ্চতার (৪২ ইঞ্চি) পাত্রী। ধুমধাম করে তাদের দেওয়া হয়েছে বিয়ে। এ নবদম্পতিকে দেখতে এখন ভিড় করছে মানুষ। কেউ কেউ দিচ্ছেন উপহারও।
শৈলকূপা উপজেলার আউশিয়া গ্রামের আজিবর মণ্ডল ও সাহিদা বেগমের ৩ সন্তান। দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে আব্বাস। ছোট ছেলের আকৃতি স্বাভাবিক হওয়ায় কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছে তার। বড় ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
দুশ্চিন্তার অবসান ঘটে শুক্রবার রাতে। একই উপজেলার লক্ষন্দিয়া গ্রামের ইউনুস আলী মোল্ল্যার বড় মেয়ে মিম খাতুনকে (৪২ ইঞ্চি) তারা ছেলের পাত্রী হিসাবে পছন্দ করেন। রাতে বরযাত্রীসহ মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয় এবং ওই রাতেই নববধূকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ছেলের বিয়ে দিতে পেরে বেজাই খুশি আজিবর মণ্ডল ও সাহিদা বেগম। মিমের পরিবারের সবার চোখে মুখে আনন্দ। অন্যরকম অনুভূতি মিমের বাবার মনে। নববধূ সেজে বসে আছেন আব্বাস ও মিম। তাদের সঙ্গে কথা হয়। ঘর বাধার স্বপ্ন সফল হওয়ায়, খুশি তারা। খুশি মিমের বাবাও। ইউনুস আলী বলেন, মেয়েকে বধূবেশে দেখে ভালো লেগেছে। আমরাও মেয়ের বিয়ে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম।
শনিবার সকালে ক্ষুদ্রাকৃতি নব দম্পতিকে দেখতে আসেন সব বয়সের মানুষ। ভিড় লেগেই আছে। ক্ষুদ্রাকৃতির এ বর-বধূর হাতে উপহার তুলে দিচ্ছেন অনেকে। গোটা গ্রামেই এ বিয়ে উপলক্ষে উৎসব মুখোর পরিবেশ বিরাজ করছে।