সাত বন্ধু তাদের গ্রামের পাশে জঙ্গলে শিকার করতে গিয়েছিল। তাদের বয়স ১৮-২৩ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে একজন দুর্ঘটনাক্রমে বন্দুকের গুলি লেগে মারা যায়। আর এই শোক সইতে না পেরে তাদের মধ্যে তিনজন বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।
শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে। ওই যুবকরা সেখানকার তেহরি জেলার বিলানগানা ব্লকের কুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা। ঘানসালি পুলিশ স্টেশনের ওসি কুলদীপ শাহ জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রামের কাছে চোলাহ তোক বনে বন্য পাখি শিকারে বেরিয়েছিল তারা।
কিন্তু শিকারে গিয়ে রাজিব সিং নামের এক যুবকের রাইফেল থেকে দুর্ঘটনাক্রমে গুলি বেরিয়ে সন্তোষ পানওয়ারের গায়ে লাগে। তারপর ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘানসালির সাব-ডিভিশনাল ম্যাসিস্ট্রেট পি আর চৌহান জানান, রাজিব ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলে বন্দুকের গুলি বেরিয়ে তা সন্তোষের গায়ে লাগে। এতে সেখানেই মারা যায় সন্তোষ।
চৌহান আরও বলেন, সন্তোষের মৃত্যুর পর তার বন্ধুরা ভয় পেয়ে যায়। প্রথমে তারা সন্তোষের মৃতদেহ গ্রামের কাছেই একটি গোয়ালঘরে নিয়ে আসে। শোকে-দুঃখে তারা বন্দুক দিয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করে। পরে সেই পরিকল্পনা বাদ দিয়ে তাদের মধ্যে অর্জুন সিং, পঙ্কজ সিং ও সোবান সিং কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে।
এদিকে রাজিব সিং পলাতক রয়েছে। ওই গ্রুপের বাকি দুই সদস্য রাহুল ও সুমিত গ্রামে ফিরে যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কুন্ডি গ্রামের গ্রাম প্রধান কুলদীপ পাওয়ার বলেছেন, সাতজন বন্ধু ছিল। তারা বেকার ছিল।