বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া তিন মাথা, ফুলবাড়ি এবং কাটনারপাড়ার এই ছয় ব্যক্তি সোমবার ভোর থেকে বেলা ৩টার মধ্যে মারা যান বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তারা হলেন- পুরান বগুড়ার লোকমান মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রি রমজান আলী (৪০), প্রেমনাথের ছেলে সুমন ( ৩৮), কাটনার পাড়ার টোকাপট্টির চা দোকানি সাজু (৫৫), বাবুর্চি মোজাহার আলী (৭০), ফুলবাড়ি সরকার পাড়ার আব্দুল জলিল (৬৫) ও ফুলবাড়ী মধ্যপাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে পলাশ (৩৫)।
সদর ওসি হুমাযুন কবীর বলেন, “মদপানের পর মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। তবে কী কারণে তারা মারা গেছে তা জানতে প্রত্যেকের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষাক্ত মদপানে তারা মারা গেছেন কিনা তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
রোববার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কয়েকজন হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে আনা রেকটিফায়েড স্পিরিট পান করার পর তারা অসুস্থ হন বলে পুরান বগুড়ার তিন মাথা এলাকার হরিনাথ নামে একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন।
ভোরে তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া রমজান স্থানীয় এক ক্লিনিকে মারা যান।
মদপানের পর প্রেমনাথ ও রামনাথ নামে অসুস্থ দুই ভাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন হরিনাথ।
বগুড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরুণ কুমার চক্রবর্তী বলেন, শহরের কালিতলা বাজারে রেকটিফায়েড স্পিরিট পান করেন সাজু, মোজাহার ও আব্দুল জলিল। রাতে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে তিনজনই মারা যান।
ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, “রেকটিফায়েড স্প্রিরিট পানের পর অসুস্থ হয়ে পলাশ মারা গেছেন।”
এছাড়া ‘রেকটিফায়েড স্পিরিট পানের পর’ ফুলবাড়ী এলাকার পায়েল (৩০), রঞ্জু (৩৪) ও আইয়ুব ( ৩১) নামের আরও তিনজন অসুস্থ হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল আজিজ মণ্ডল।
ওসি হুমায়ন কবির বলেন, “ছয়জনের মধ্যে তিনজন রেকটিফায়েড স্প্রিরিট পানে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অন্য তিনজনের বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।”