বগুড়ায় মৌসুমী ফল বরই এর বাজার জমে উঠছে। ভোর থেকে হাঁক-ডাকে সরগরম হয়ে ওঠে বরই বাজার। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বরই চাষী ও পাইকারদের পদচারণায় বগুড়া শহরের ষ্টেশনরোডের ফল আড়ত ‘বরই বাজার’ মুখরিত হয়ে ওঠে।
বিদেশী ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া। ঐ সব ফল সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাই মানুষ আপেলের পরিবর্তে বরই বা কুল ফলকে বেছে নিচ্ছে। বিদেশী ফলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশী ফলে কদর বাড়ছে। বরই চাষিরাও এবার লাভের মুখ দেখছেন। ভালো দাম পেয়ে খুশী চাষিরা।
নাটোর থেকে বরই বিক্রি করতে আশা হাফিজ জানান, বরই এর জামিতে অন্য কোনো ফসল হয় না। এরই উপর নির্ভর করতে হয় আমাদের।
বগুড়ার বরইয়ের বাজারে বেচা-কেনা চলে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত। সিরাজগঞ্জের বরই চাষি মোখলেস জানান, বিদেশী ফল আপেল, কমলা, আঙ্গুর, মাল্টার দাম বেশি হওয়ায় মানুষ দেশী ফলের দিকে ঝুকছে।
ফলের বাজারের নাহিদ ফল ভান্ডারের আড়ৎদার মো. শাওন আহম্মেদ জানান, প্রতিদিন কাক ডাকা ভোরে অর্ধশতাধিক ট্রাক দেশের বগুড়া, নাটোর, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ৬শ’ মন বরই আসে বগুড়ার বাজারে। ভোর থেকে বেচা-কেনা শুরু হয়, চলে সকাল ১০ পর্যন্ত। বিভিন্ন নাম দেয়া হয়েছে বরইগুলোর। এ গুলোর অদিকাংশই হাইব্রীড। নামও দেয় হয়েছে বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী, আপেল কুল, আঙ্গুরী। সাথে আছে দেশি টক বরই। দেশি বরই আচারের জন্য বেশ চাহিদা সম্পন্ন এবং দামও বেশি।
বরই এর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মন প্রতি আপেল কুল ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায়, বল সুন্দরী ২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা, আঙ্গুরী বরই ১ হাজার থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আড়ৎদারা জানান, চাষিরা নিজ এলকায় বসে ৫ শতাংশ কমিশনে বরই বিক্রি করে থাকেন।
অনেক পাইকারী ব্যবসায়ী জানান, তারা বিভিন্ন জেলা থেকে বাগানে গিয়ে বরই কিনে থাকেন। বাগান মালিক থেকে পাইকারি ব্যবসায়ী এরপর খুচরা ব্যবসায়ী, প্রায় তিন হাত ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ী অর্থাৎ ফুটপাত ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে ক্রেতাদের কাছে প্রকার ভেদে পাইকরি ৭৫ টাকা থেকে ১০০ টাকার বরই ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন...