চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাকসুদুল বাশার বাঁধন পাটওয়ারী (৪২) কে আটক করেছে থানা পুলিশ । শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে থানা পুলিশ একটি মাছের ঘেরের বাঁধ কাটার সংবাদে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ মেয়র প্রার্থী বাঁধনকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদ হোসেন। তাকে আটকের সময় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে পুলিশের এসআই নাছিরউদ্দিনসহ এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়া এবং ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাকু ও বোমা সদৃশ কিছু পদার্থ উদ্ধার করার বিষয়টি স্বীকার করেন ওসি। আটককৃত বাঁধন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাবুবুল বাশার কালু পাটওয়ারীর ছেলে।
বাঁধন ফরিদগঞ্জ পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জেলা ছাত্রলীগে সাবেক সদস্য। আটককৃত বাঁধন পাটওয়ারী বলেন, আমার মাছের ঘেরের বাঁধ কেটে উল্টো পুলিশকে খবর দিয়ে আমাকে আটক করা হয়েছে। আমাকে পুলিশ জামার কলার চেপে ধরলে আমি বললাম ‘আমি ওসিকে ফোন দিচ্ছি , কলার ছেড়ে দেন’ । এ সময় ফোন বেবর করতেই ফোনটি পুলিশ নিয়ে যায় এবং আমাকে লাঞ্চিত করে ধরে নিয়ে আসে। আমাকে ঘুষি দিলে আমার বাম চোখে প্রচন্ড আঘাত পাই এবং পুলিশের হাতের অংশবিশেষ কেটে যায়। তিনি আরো বলেন, আমার নিকট কোন অস্ত্র পায়নি। আমার প্রতিপক্ষ বাবুল পাটওয়ারীর লোকজন পুলিশকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে।
প্রতিপক্ষ বাবুল পাটওয়ারীর মাছের ঘেরের কেয়ারটেকার মোঃ শাহাবুদ্দিন বলেন, বাঁধন আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। তাছাড়া সে বাঁধ কেটে আমাদের ঘেরের মাছসহ পানি তার ঘেরে নিয়ে গিয়েছে। এ ঘটনায় বাবুল পাটওয়ারীর ভাই ছালাউদ্দিন বাদী হয়ে বাঁধন পাটওয়ারীকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সহিদ হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ বাঁধনকে আটক করেছে। আটক করতে গিয়ে দু’পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে। তাছাড়া প্রতিপক্ষ থেকে ছালাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি একটি মামলা দিয়েছে বাঁধনের বিরুদ্ধে।