প্রয়াত প্রভাবশালী এক নেতার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মসজিদের নামে দেয়া জায়গা বুঝিয়ে দেয়া নিয়ে তালবাহানা করায় প্রায় দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা।শনিবার ( ২২ মে ২০২১ ) বিকেলে প্রয়াত ঐ নেতার ওয়ারিশ হিসেবে তার পুত্র জায়গাটি বুঝে নিতে গেলে এঘটনা ঘটে।এসময় কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে পুরো বসুন্ধরা বআবাসিক এলাকাটি।পরে পুলিশ এসে ঐ ওয়ারিশের সাথে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বসুন্ধরা কতৃপক্ষের সমঝোতার আশ্বাস দিয়ে অবরোধ মুক্ত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে কিছু লোকজন এসে বসুন্ধরা আবাসিকের ৩’শ ফিট এলাকার পাশের গেট টি হঠাৎই বন্ধ করে দেন।এভাবে একে বন্ধ করে দেওয়া হয় আবাসিক এলাকাটির প্রায় সবগুলো ফটকই।এতে, তীব্র যানযটের তৈরী হয় পুরো এলাকাজুড়ে। এমনকি, প্রায় ২ ঘন্টারও বেশী সময় আবাসিক এলাকাটিতে কেউ প্রবেশ করতে পারেনি বা এলাকাটি থেকে কেউ বেরও হতে পারেনি। পরে পুলিশ এসে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করেন।
জানা যায়, অনেকদিন ধরেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি ব্লকের একটি প্লটের জায়গা বুঝে দে্য়া তাল বাহানা করে আসছিল বসুন্ধরা কতৃপক্ষ। জায়গাটি প্রয়াত এক প্রভাবশালী নেতা এলাকাবাসির জন্য মসজিদের জন্য দিয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তার ওয়ারিশরা জায়গাটির মালিকানা বুঝে নিয়ে সেখানে মসজিদ নির্মানের উদ্যোগ করে।সর্বশেষ গত শনিবার বিকেলে প্লটটি বুঝে দে্য়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করে বসুন্ধরা কতৃপক্ষ।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভূক্তভূগী ঐ ওয়ারীশের লোকজন এসে বন্ধ করে দেন আবাসিকের সবগুলো ফটক। এতে প্রায় ২ ঘন্টা যাবৎ অবরুদ্ধ হয়ে পুরো আবাসিক এলাকটি। এসময়,বসুন্ধরার হ্যান্ডওভার শাখার মাহমুদুর রহমান তুহিন এবং জিএম হাবিব এসে পুলিশের সমঝোতায় প্লট টি বুঝে দিতে আগামী এক সপ্তাহের সময় নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।এখবর শুনে আরো যাদের প্লট বুঝে দেওয়া নিয়ে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে তারাও জড়ো হতে থাকে আবাসিক এলাকার চারপাশে। তবে, সেই প্রভাশালী নেতার ওয়ারিশের বিষয়টি নিয়ে কোনভাবেই মুখ খুলছেন না বসুন্ধরা কতৃপক্ষ।