করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সারা দেশে কঠোর লকডাউন দিয়েছে সরকার। এতে বিপাকে পড়েন প্রবাসীরা। গত মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যগামী প্রায় ২০ হাজার প্রবাসী দেশে আটকা পরেছে এমন দাবি করে জরুরি ব্যবস্থায় ফ্লাইট চালু রাখতে বলে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
আটকে পরা প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে বিশেষ ফ্লাইট চালু হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে শতাধিক ফ্লাইট সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর- এই পাঁচটি দেশে প্রবাসী কর্মীদের পরিবহন করবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এ তথ্য জানান।
এর আগে এ বিষয়ে বিবচকের বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনার কথা গতকাল বুধবার জানানো হয়। জানা গেছে, রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহ বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এয়ারপোর্টে আনার দায়িত্ব পালন করবে।
প্রবাসী কর্মীরা কেবল জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের ছাড়পত্র গ্রহণ করে এবং দেশে প্রযোজ্য কোয়ারেন্টাইনের শর্ত মেনে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে আসতে পারবেন।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) পররাষ্ট্র সচিবের সভাপতিত্বে লকডাউনকালে বিদেশগামী কর্মীদের গন্তব্য দেশে যাওয়া বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এরআগে মধ্যপ্রাচ্যগামী প্রবাসীদের টিকিটের বর্ধিতমূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
আটাবের সভাপতি মনছুর আহমেদ কালাম বলেন, মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অনেক প্রবাসী ছুটি নিয়ে, জরুরি প্রয়োজনে বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। তারা সবাই উচ্চমূল্যে টিকিট কিনে করোনা পরীক্ষা শেষ করেই মধ্যপ্রাচ্যের কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। তাছাড়া অনেক নতুন কর্মী ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।