বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে বিদেশি সাংবাদিকেরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনি প্রধান বিরোধী দলকে ২০১৮ সালের পর থেকে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তাদের অনুপস্থিতিতে গতকালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। “যেখানে ৬৫ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়নি।” গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সীমিত করা হয়েছে বলে মানবাধিকার কর্মীরা আপনার “সরকারের সমালোচনা করছে।” আপনি কি বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশে একটি গতিশীল গণতন্ত্র থাকবে, যেখানে কোনো বিরোধী দল নেই?”
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। সেখানে যদি কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই না যে গণতন্ত্র নেই।” আপনাকে বিবেচনা করতে হবে মানুষ অংশ নিয়েছে কি না। আপনি যে দলের (বিএনপি) কথা বলেছেন তারা আগুন দেয়, মানুষ হত্যা করে। “কিছুদিন আগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে।” এটা কি গণতন্ত্র? “এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।” মানুষ এটা গ্রহণ করে না। এ ধরনের ঘটনা এ দেশে একাধিকবার ঘটেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি। মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে।”
বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন এবং অর্ধেকের কম ভোট পড়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “যদি এখানে গণতন্ত্রের আর কোনো সংজ্ঞা থাকে সেটা ভিন্ন। মানুষের অংশগ্রহণই বড় কথা।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বিএনপি মানুষকে এ নির্বাচনে ভোট না দিতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মানুষ তাদের কথা শোনেনি।”
প্রধানমন্ত্রী বিদেশি সাংবাদিককে পাল্টা বলেন, “বিএনপি কত মানুষ মেরেছে সে প্রশ্ন তিনি করেননি। তারা ২০১৪-১৫ সালে যা করেছে তাতে তাদের কীভাবে গণতান্ত্রিক দল বলা যায়? তারা সন্ত্রাসী দল এবং মানুষ তাদের সমর্থন করে না।”
ভারতের টেলিগ্রাফের সাংবাদিক দেভাদ্বীপ পুরোহিতের প্রশ্ন ছিল, “নির্বাচন শেষ হয়েছে। আপনি যখন গণতন্ত্রের কথা বলছেন, তখন আপনার বিরোধী দলের প্রয়োজন হবে। এ ব্যাপারে আপনি কি ভাবছেন?”
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “আপনি কি চান আমি একটি বিরোধী দল গঠন করি?” “আমি তা করতে পারি?” আমি নিজেও বিরোধী দলে ছিলাম দীর্ঘ সময়। “আমরা আমাদের দল গঠন করেছি। বিরোধীদেরও তা করতে হবে। আপনি যদি তা করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তার জন্য কে দায়ী?”