স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। খালের দুই পাড়ে বাঁধ দিয়ে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা খালগুলো শিগগির সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) কাউন্সিল হলে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা: সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাশার। এ সময় উপকমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জোনভিত্তিক ইউটিলিটির দাম নির্ধারণ করতে হবে। কেননা গুলশানে থাকা ব্যক্তি এবং যাত্রাবাড়ী থাকা ব্যক্তির জীবন যাপনের এক রকম নয়। সে হিসাবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির দাম নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীর লাশ সংসদ ভবন এলাকায় থাকতে পারে না। লুই আই কানের নকশার ব্যতয় ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী জিয়াকে কবর দেওয়া হয়েছে। তার লাশ থাকুক বা না থাকুক নকশাবহির্ভূত কোনো কিছু এখানে থাকতে পারবে না।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, কল্যাণপুরে ১৭৩ একর জমির মধ্যে ১৭০ একর জমি অবৈধ দখলে। শিগগির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। আর সেখানে ইকোপার্ক, ইয়ুথ ক্যাম্পসহ হাতিরঝিলের মতো লেক তৈরি হবে। আর বৃষ্টির পানি নামানোর জন্য এই লেক ব্যবহার করা হবে।
অবৈধ দখলদারদের হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, খাল দখল করে অবৈধভাবে ভবন তৈরি করেছেন। আপনারা নিজ ইচ্ছায় ভবন সরিয়ে নিন। না হয় আমরা সব ভেঙে ফেলব। শিগগির আমার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করব।