আল কুরআন প্রচার সংস্থা (আকপও) বাংলাদেশ । “মাতৃভাষায় কুরআন বুঝুন- মাদক, সন্ত্রাস ও দূর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ুন”।
আকপও বাংলাদেশ দেশব্যপি বিনামূল্যে মাতৃভাষায় কুরআন শিক্ষা প্রদান করছে, যা সকল বর্ণের ও সর্ব গোত্রের সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কতৃক অনুমোদিত ইহা একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অহিংস ও সেবামূলক সংগঠন।
দেশ ব্যাপি আত্ম-সামাজিক উন্নয়নে আকপও বাংলাদেশ নিরলসভাবে কাজ করছে, যার অধিনে রয়েছে ১৯ টি প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী রির্সোস সেন্টার, হিজড়া-হরিজন- বাসফোড় পূনর্বাসন, দরিদ্র -মেধাবী তরুন/তরুণীদের জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৫ টি, গ্রামীন মা বোনদের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গ্রামীন পয়-নিস্কাষন, বৃক্ষরোপন এর পাশাপাশি পথ-শিশুদের বিদ্যালয় মূখি করার বিশেষ সেমিনার মূলক কর্মকান্ড সহ দেশব্যাপি ১৫০ টির অধীক মাতৃভাষায় কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
মুফতি আল্লামা খলিলুর রহমান জিহাদি বলেন, যে ব্যক্তি মাতৃভাষায় কুরআন বোঝে, তার মধ্যে দ্বন্দ্ব, মাদক-সন্ত্রাস, দুর্নীতি থাকবে না এবং একে অপরকে দোষ দেবে না, আঘাত করবে না, হাল ছাড়বে না, সন্ত্রাসীরা কোনো কাজে জড়িত থাকবে না।
আকপও বাংলাদেশ কতৃক পরিচালিত প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কেন্দ্র গুলোর একাংশ তুলে ধরছি …
*আব্দুর রহমান প্রতিবন্ধী ও অটিসস্টিক বিদ্যালয়
বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার কিশোরগন্জ উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে আকপও বাংলাদেশ ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করে, বিদ্যালটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মুফতি আল্লামা খলিলুর রহমান জিহাদি। মো: আবুল জব্বার বিদ্যালয়টির আহ্বায়কের দ্বায়িত্বে রয়েছেন । বর্তমানে ৩৫২ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়টিতে অদ্যয়নরত রয়েছে।
*চাঁদের হাট প্রতিবন্ধী ও অটিসস্টিক বিদ্যালয়
আকপও বাংলাদেশ ২০১৪ সালে বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার চাঁদেরহাটে স্থাপন করে। বিদ্যালটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন শহিদুল ইসলাম । তিনি চাঁদের হাট ডিগ্রি কলেজ প্রিস্নিপাল। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৩২৪ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
*গাড়াগ্রাম প্রতিবন্ধী ও অটিসস্টিক বিদ্যালয়
আল কুরআন প্রচার সংস্থা আকপও বাংলাদেশ ২০১৩ সালে নীলফামারী জেলার কিশোরগনজ উপজেলার গাড়াগ্রাম বাজার কাছে বিদ্যালয়টি স্থাপন করে।বর্তমানে বিদ্যালটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মোছাঃ কাজলী বেগম। বিদ্যালয়টিতে ৫৫২ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
*খুটামারা প্রতিবন্ধী ও অটিসস্টিক বিদ্যালয়
বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নে অবস্থিত । বর্তমানে বিদ্যালয়টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্বারী মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক। বিদ্যালয়টিতে ২৫০ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
*গোলনা প্রতিবন্ধী ও অটিসস্টিক বিদ্যালয়
আল কুরআন প্রচার সংস্থা আকপও বাংলাদেশ বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠা করে।বিদ্যালয়টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সুরেন্দ্র নাথ রায়।বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২৯৮ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
*শিমুলবাড়ী প্রতিবন্ধী ও অটিসস্টিক বিদ্যালয়
বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে আল কুরআন প্রচার সংস্থা আকপও বাংলাদেশ ২০১৩ সালে নির্মান করে । বর্তমানে বিদ্যালয়টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন জনাব গোলাম মোস্তফা । বিদ্যালয়টিতে ২৫৯ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
*ডাউয়াবাড়ি প্রতিবন্ধী ও অটিসস্টিক বিদ্যালয়
বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত । বিদ্যালয়টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জনাব মনোয়ার হোসেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
*গায়াবাড়ী প্রতিবন্ধী ও অটিসস্টিক বিদ্যালয়
আল কুরআন প্রচার সংস্থা আকপও বাংলাদেশ ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সঠিবাড়ী হাটের কাছে প্রতিষ্ঠা করে।বর্তমানে বিদ্যালয়টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শ্রী মিন্টু রাম রায়। বিদ্যালয়টিতে ১৬২ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
*শৈালমারী প্রতিবন্ধী ও অটিসস্টিক বিদ্যালয়
বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নে অবস্থিত আকপও বাংলাদেশ ২০১৩ সালে স্থাপন করে। বর্তমানে বিদ্যালয়টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অত্র ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল লতিফ। বিদ্যালয়টিতে ২৬২ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
*চাঁদখানা প্রতিবন্ধী ও অটিসস্টিক বিদ্যালয়
বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার কিশোরগনজ উপজেলার কেল্লাবাড়ী বাজারে কাছে অবস্থিত । বিদ্যালয়টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন স্বপন কুমার রায়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৩০৩ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
*বাহাগীলি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার কিশোরগনজ উপজেলার বাহাগীলি ইউনিয়নের নওদার বাজার সংলগ্ন উক্ত বিদ্যালটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা আব্দুল জলিল। বিদ্যালয়টিতে ২৮৫ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
*সাইয়েদার রহমান প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার কিশোরগনজ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন অবস্থিত। বর্তমানে বিদ্যালয়টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা সাইয়েদার রহমান । বিদ্যালয়টিতে ২৫৫ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
*হাজারীরহাট প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক
আকপও বাংলাদেশ বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার হাজারীরহাট এ স্থাপন করে, বিদ্যালয়টির সভাপতির দ্বায়িত্বে রয়েছেন খুরশেদ আলম । বিদ্যালয়টিতে ২৩০ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
*চড়াইখোলা প্রতিবন্ধী ও অটিসস্টিক বিদ্যালয়
বিদ্যালয়টি নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার চড়াই খোলা ইউনিয়নে বাজারের অবস্থিত।বিদ্যালয়টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২৮০ জন শিক্ষার্থী অদ্যয়নরত রয়েছে।
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যন মুফতি আল্লামা খলিলুর রহমান জিহাদীর লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তোলা, পাশাপাশি সারা দেশব্যপী মাতৃভাষায় আল কুরআনুল কারীম বিতরণ ও প্রচার অব্যাহত রাখা।
আল কুরআন প্রচার সংস্থা আকপও বাংলাদেশ এর চলমান কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এক লক্ষ কপি অনুদিত আল কুরআনুল কারীম বিতরন কার্যক্রম।হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও তার পরিবার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সকল বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির স্বরণে ভষ্কর্য়ের পরিবর্তে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন কার্যক্রম চলছে।
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতি আল্লামা খলিলুর রহমান জিহাদির লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলাতে একটি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করা, পাশাপাশি সারা দেশের মাতৃভাষায় আল-কুরআন আল-করিম বিতরণ ও প্রচার চালিয়ে যাওয়া।
সহযোগিতায় সরাসরি যোগাযোগ করতে ক্লিক করুন- মুফতি আল্লামা খলিলুর রহমান জিহাদি
বিস্তারিত জানতে ও সদস্যপদের আবেদনের জন্য ভিজিট করুন www.aqpo.org
প্রচারে
AQPO TV