গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে পুষ্পা ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় সিনেমা “পুষ্পা ২: দ্যা রুল”। বৃহস্পতিবার মুক্তি পায় সিনেমাটি। তার আগে বুধবার বেশ কিছু জায়গায় পেইড প্রিমিয়ারের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই স্বামী এবং সন্তানের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যান এক নারী। আর তখন সেই হলে আচমকাই এসে হাজির হন আল্লু আর্জুন। তাকে একবার দেখার নেশায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে মারা যান সেই নারী। পরবর্তীতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল অভিনেতার নামে। সেই ঘটনার ৮ দিন পর গ্রেপ্তার হলেন অভিনেতা। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু আর্জুনকে গ্রেপ্তার করে হায়দরাবাদের পুলিশ। গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের একটি সিনেমা হলের সামনে যে হুড়োহুড়ি এবং পদপিষ্টের ঘটনায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে সেই মামলার জন্যই গ্রেপ্তার হলেন অভিনেতা। জানা গিয়েছে এদিন হায়দরাবাদের চিক্কড়পল্লি থানা থেকে জুবিলি হিলসে অবস্থিত আল্লু আর্জুনের বাড়ি যান পুলিশ। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে থানায় আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে সেখানে আপাতত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের সন্ধ্যা সিনেমা হলে ছিল “পুষ্পা ২” সিনেমটির প্রিমিয়ার। এমনি তার জন্য উপচে পড়েছিল ভিড়। তার মধ্যে আচমকাই সেখানে আল্লু অর্জুন আসায় পড়ে যায় হুড়োহুড়ি। নিমেষে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। সেই সময় সিনেমা হলে ছেলেকে নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন সেই নারী। তখনই পদপিষ্ট হয়ে মারা যান তিনি। তার ছেলেও গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। এরপর আল্লু আর্জুনসহ সন্ধ্যা সিনেমা হলের বিরুদ্ধেও দায়ের করা হয় মামলা।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, আল্লুেআর্জুন আগে থেকে খবর না দিয়ে আচমকাই সেখানে চলে আসেন। পুলিশও সেভাবে প্রস্তুত ছিল না, তাই সেই সময় হুড়োহুড়ি নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় কর্মরত পুলিশের পক্ষে। পরিবারের তরফে গোটা ঘটনার জন্য আল্লু আর্জুনকে দায়ী করা হয়েছে। এমনকি তারা আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। এরপর তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।