টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরও ব্যস্ত সময়ই কাটাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আগামী ১৪ নভেম্বর বিশ্বকাপ ফাইনাল, এর চার দিন পরই পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্ট আর তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে বাবর আজমরা আসবেন বিশ্বকাপ ফাইনালের পরদিনই। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে সিরিজের সূচি।
২০১৬ সালের এশিয়া কাপের পর বাংলাদেশে এটিই হবে পাকিস্তান দলের প্রথম সফর। বাংলাদেশ অবশ্য ২০২০ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দুই দফায় পাকিস্তানে গেছে। লাহোরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে এসে পরে আবার রাওয়ালপিন্ডিতে গেছে টেস্ট খেলতে। সিরিজের বাকি অংশ হওয়ার কথা ছিল গত বছরেরই এপ্রিলে। সেই পর্বে করাচিতে হওয়ার কথা ছিল একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট ম্যাচ। কিন্তু সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ম্যাচ দুটি আর হতে পারেনি।
পাকিস্তান সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসে ২০১৫ সালে। দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে আর এক টি-টোয়েন্টির সিরিজে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তারা। একমাত্র টি-টোয়েন্টি টেস্টটিও জিতেছিল বাংলাদেশই। তবে টেস্ট সিরিজ পাকিস্তান জিতেছিল ১-০–তে।
আসন্ন সিরিজে দিবারাত্রির তিনটি টি-টোয়েন্টিই হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ১৯ নভেম্বর হবে প্রথম ম্যাচ, পরের দুটি টি-টোয়েন্টি ২০ ও ২২ নভেম্বর। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে এরপর আবারও মিরপুরে ফিরবে দুই দল। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দিয়েই দ্বিতীয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করবেন মুমিনুল হকরা।