1. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. [email protected] : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. [email protected] : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
পাঁচ দেশে হাসিনার পরিবারের নামে সম্পদের খোঁজ - Dainik Deshbani
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

পাঁচ দেশে হাসিনার পরিবারের নামে সম্পদের খোঁজ

Maharaj Hossain
  • সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

কেম্যান দ্বীপপুঞ্জসহ পাঁচটি দেশে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৩৫ কোটি টাকার খোঁজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে হাসিনার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬৩৫ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, রাজউকের ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা মূল্যের ৬০ কাঠা প্লট পাওয়া গেছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের নামে। এ ছাড়া ৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ১০ শতাংশ জমিসহ ৮টি ফ্ল্যাট পাওয়া গেছে।

এ সময় শফিকুল আলম বলেন, অনেক ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়ালেখা করতে যায়। এক ঘটনায় দেখা গেছে, ছেলের একটি সেমিস্টারের টিউশন ফি হিসেবে ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে। সকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্সের সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

প্রেস সচিব বলেন, মানিলন্ডারিংটা কীভাবে হয়েছে দেখেন। তবে তদন্তের স্বার্থে ব্যক্তির নাম প্রকাশ করছি না আমরা। কতটা ইনোভেটিভ প্রক্রিয়ায় টাকা পাচার হয়েছে। আমরা জানতাম ওভার ইনভয়েসিং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে, ব্যাংকিং সিস্টেমে বা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা চলে গেছে। কিন্তু দেখা গেছে, কিছু কিছু জায়গায় লুপ হোল খুঁজে ৪০০ কোটি। পৃথিবীতে কারও টিউশন ফি ৪০০-৫০০ কোটি টাকা আছে?

তিনি বলেন, পাচার করা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রথম থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার তৎপর ছিল। প্রফেসর ইউনূস প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। আমাদের টপ প্রায়োরিটির ভেতরে এটা থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকারের ফোকাস ছিল পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়। সেজন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর।

প্রেস সচিব বলেন, টাকাটা ফেরত আনার প্রচেষ্টা কতদূর এগোল, সেটার ওপর আজ একটা বড় মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা। সেই মিটিংয়ে অনেক সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়, সেটি ত্বরান্বিত করার জন্য একটা বিশেষ আইন খুব শিগগিরই করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আপনারা এই আইনটা দেখবেন।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব