বাসায় আটকে রেখে বিউটি পার্লারকর্মীকে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে আলোচিত সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের সেই নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে তাকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
র্যাব-১-এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের ইনচার্জ কোম্পানি কমান্ডার লে. আব্দুল্লাহ আল-মামুন ওই গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ৯টা ৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণ খান এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। এসময় ওই বাসা থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর (১৬, ১৭ ও ১৮নং ওয়ার্ড) রোকসানা আহমেদ রোজীকে গ্রেফতার করা হয়।
বাসায় আটকে রেখে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানোর অভিযোগে কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী ও বাড়ির কেয়ারটেকার নুরুল হকসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার জিএমপি’র বাসন থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই কিশোরী (১৬)।
ওইদিনই বাসন থানা পুলিশ নুরুল হককে গ্রেফতার করলেও ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর রোজী পলাতক ছিল।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর (১৬, ১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ড) রোকসানা আহমেদ রোজীর মালিকানাধীন রহমান শপিং মলের আনন্দ বিউটি পার্লারে প্রায় চার মাস আগে চাকরি নেন নওমুসলিম ওই কিশোরী (১৬)।
তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানাধীন বড়য়াকোনা এলাকায়।
পার্লারে চাকরির পাশাপাশি তাকে গ্রেট ওয়াল সিটি এলাকার রোজীর ভাড়া বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
এরপর ওই কিশোরীকে বাসায় আটকে রেখে বাড়ির কেয়ারটেকার নুরুল হকের সহযোগিতায় প্রায় দু’মাস ধরে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন কাউন্সিলর রোজী।
একপর্যায়ে মঙ্গলবার কৌশলে বাসা থেকে পালিয়ে যায় ভিকটিম। এ ঘটনায় জিএমপির বাসন থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের জবরদস্তি করে সেবা প্রদান ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে কাউন্সিলর রোজী ও বাড়ির কেয়ার টেকার নুরুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভিকটিম।