চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে সংখ্যালঘূ ইউঘুরদের ওপর নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার প্রতিবাদে দেশটিতে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে বেইজিং।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস কাপুইসের তলবের কথা নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্সের।
চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সিন গ্যাং এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ব্রসেলসকে তার মারাত্মক ভুল বুঝতে হবে এবং এ ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় চীনের সঙ্গে সম্পর্কের মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আলাদা একটি বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যতম মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বেইজিং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মারাত্মকভাবে চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে। এ ছাড়া তারা জঘন্যভাবে মিথ্যাচার ও ভুল তথ্য প্রচার করছে।
হুয়া চুনইং বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার ভুল সংশোধন না করলে চীনও তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে একে অপরের ওপর পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীন। শিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের কারণে সোমবার চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ।
দেশটির এক নিরাপত্তা পরিচালকসহ চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ জব্দের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন এর মন্ত্রীরা।
এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইউরোপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কালো তালিকাভুক্ত করেছে বেইজিং।
চলতি সপ্তাহে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মানবাধিকার নিপীড়নে যুক্ত চীনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জোটটির দুই কূটনীতিক জানান, ১৯৮৯ সালের পর বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম নিষেধাজ্ঞা।