নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপকালে এ প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধানের ১১৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইন করা যেতে পারে বলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে জানিয়েছেন। এই আইনটি না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।
এ ছাড়া শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে কীভাবে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা যায় সেই বিষয় নিয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠনে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আইনের বিষয়টি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রীসভা খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে। এখন এই আইনের ওপর ব্যাপক আলোচনা প্রয়োজন। তারপর আইনটি চূড়ান্ত করা উচিত।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মন্ত্রিসভার এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা হবে বাংলাদেশি নাগরিক, যার ৫০ বছর বয়স এবং সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা।