টাঙ্গাইলের সখীপুরে আড়াই বছরের এক শিশুর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত ১টার দিকে উপজেলার হতেয়া গ্রামের কেরানীপাড়া এলাকায় নিহতের প্রতিবেশী ও দাদার বাড়ির রান্নাঘরের লাকড়ির মাচার ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই ওই বাড়ির মালিক ও শিশুটির দাদা আরমান খান (৩৬), দাদি স্ত্রী সুমা খান (৩০) এবং আরমান খানের শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত ওই শিশু আটক সুমা খানের ভাতিজার মেয়ে।
মঙ্গলবার শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ওই শিশুর নাম রাইসা খান। সে হতেয়া কেরানীপাড়া এলাকার ইরাক প্রবাসী রাজু খানের একমাত্র সন্তান। রাজু খানের বাবা সুলতান খানও ব্রুনাই প্রবাসী। এ ঘটনায় নিহত শিশুর চাচাতো দাদা মোনায়েম খান বাদী হয়ে সখীপুর থানায় খুনের মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাইসা সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে প্রতিবেশী দাদা আরমান খানের বাড়িতে যায়। সন্ধ্যায় সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। স্বজনদের বাড়িসহ আশপাশের পুকুরে খুঁজেও রাইসার খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী নিহত শিশুর প্রতিবেশী ও চাচাতো দাদা আরমানের বাড়ির রান্নাঘরের লাকড়ি ও মাচার আশেপাশে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। পরে পরিবারের লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির উদয় সমকালকে বলেন, শিশুটির গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে ভরে রাখা হয়েছিল।
হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জানান, দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক রয়েছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) এ কে সাইদুল হক ভুঁইয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে। রহস্য উদ্ঘাটন করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।