গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিখোঁজের ২৩ দিন পর নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় বদরুল আহাম্মদ খান (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে ডেকে নিয়ে অপহরণের পর ওই স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে ধর্ষণের অভিযোগে বদরুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার বদরুল জেলার শ্রীপুর উপজেলার নান্দিয়া সাগুন এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। অন্যদিকে নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক বলেন, এ ব্যাপারে রোববার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় ওই রাতেই ধর্ষণে অভিযোগে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দেওপাড়া থেকে বদরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম মোল্লা বিপিএম ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, মোবাইল ফোনে বদরুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। এরপরে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে কথা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত মাসের ১৯ তারিখে সকাল ১০টার দিকে ওই ছাত্রী তার স্কুলে ফলাফল আনতে যায়। পরে আর বাড়ি ফেরেনি এবং তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ঘটনার দু’দিন পর ২১ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
তিনি আরও জানান, ওই জিডির সূত্র ধরে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রোববার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওপাড়া এলাকা থেকে নির্যাতনের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার এবং ধর্ষণের অভিযোগে বদরুল আহাম্মদ খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিখোঁজের ২৩ দিনে বিভিন্ন সময় বিভিন্নস্থানে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
এসআই শহিদুল আরও জানান, ঘটনার দিন উপজেলার জাঙ্গালীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশাযোগে অপহরণ করে বদরুল তার এক বন্ধুর ভগ্নিপতির বাড়িতে নিয়ে যায়।