আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জাতীয় পর্যায়ে ৫ নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হবে। রোববার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় জয়িতাদের নাম ঘোষণা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
পাঁচ জয়িতা হলেন- বরিশালের হাছিনা বেগম নীলা, বগুড়ার মিফতাহুল জান্নাত, পটুয়াখালীর মোসাম্মৎ হেলেন্নছা বেগম, টাঙ্গাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিজান এবং নড়াইলের অঞ্জনা বালা বিশ্বাস।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ এই পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের হাতে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধান অতিথি হিসেবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে- ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’।
তিনি বলেন, ‘মহামারিকালে বাংলাদেশের ডাক্তার, নার্স, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবপর্যায়ে নারীরা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এই নারীরাই করোনাকে জয় করে নতুন সমতার বিশ্ব গড়ে তুলবে।’
৫ জয়িতা : এ বছর অর্থনৈতিক অঙ্গনে সাফল্যের জন্য বরিশাল বিভাগ থেকে বরিশাল জেলার হাছিনা বেগম নীলা জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পাচ্ছেন। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী।
শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার মিফতাহুল জান্নাত পাচ্ছেন এ সম্মাননা। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই নারী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসএস পড়ছেন।
সফল জননী হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পাচ্ছেন বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার মোসাম্মৎ হেলেন্নছা বেগম। তিনি তার ছয় ছেলে ও তিন মেয়ের সবাইকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তার বড় ছেলে পুলিশের একজন অতিরিক্ত আইজিপি, মেজ ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একজন আছেন বিদেশে উচ্চ শিক্ষায়।
নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে সাফল্য পাওয়া টাঙ্গাইল জেলার রবিজান জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।