নারায়ণগঞ্জে জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন ফেয়ে পুলিশ এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেছে, যাকে অপহরণের পর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার ভোরে জালকুড়িতে অবস্থিত ‘দীপ্তি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র’ থেকে মাথা ন্যাড়া ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উদ্ধার হওয়া শাহাদাৎ হোসেন অগ্রণী ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ টানবাজার শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দীপ্তি মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পূনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক শফিউল আজমকে আটক করেছে পুলিশ।
শাহাদাৎ হোসেন বলেন, শনিবার বিকালে শহরের কলেজ রোড এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসে তাকে ৯ থেকে ১১ জন লোক মারধর করে জোর করে তুলে নেয়। তিনি মাইক্রোবাসে উঠতে না চাইলে মারধর করা হয়। পরে তাকে চোখ বেঁধে জালকুড়ি ‘দীপ্তি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে’ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হাত-পা গামছা দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে নির্যাতন করা হয় এবং মাথার চুল ন্যাড়া করে দেওয় হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক পরিচালককে আটক করা হয়েছে।
ওসি জানান, অপহরণ, গুম ও চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা এবং নির্যাতনের অভিযোগে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
এই ঘটনার পর থেকে দীপ্তি মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পূর্নবাসন কেন্দ্রের সব লোকজন পলাতক রয়েছেন বলে তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
শাহাদাৎ হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তবলী ইউনিয়নের লক্ষীনগর এলাকার মোহাম্মদ উল্লাহ্র ছেলে। তার স্ত্রী রওশন আরা একটি বেসরকারি ব্যাংকে প্রধান কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ অফিসার। এই দম্পতি দুই শিশু সন্তান নিয়ে শহরের ডন চেম্বার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন।