তিনি একাধারে নাট্য পরিচালক, ট্রাভেলার এবং থিয়েটার কর্মী। বলছি জুলফিকার হুসাইন সোহাগের কথা। পাশাপাশি সংগীত শিল্পী হিসেবেও নিজেকে সমান্তরালে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় প্রথম টিভি নাটক তৈরী করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন জুলফিকার সোহাগ। বগুড়ার ভাষায় কমিডি ধাচের “অতপর অডিশন” নামক জনপ্রিয় এই নাটকটি সেসময় প্রচারিত হয় চ্যানেল আইতে । এরপর এটিএন বাংলায় প্রচারিত হয় একটি গোলাপের মৃত্য নেই।
এছাড়াও তিনি ২০১১ সাল থেকে কাজ করছেন থিয়েটার পূণ্যভূমি নিয়ে। নির্দেশক হিসেবে সেখানেও রাখছেন সাফল্যের স্বাক্ষর। এই পর্যন্ত ৫ টি নাটক নির্দেশনা দিয়ে মঞ্চস্থ করেছেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ব বিভাগের অধ্যাপক লুৎফর রহমানের মাকড়শা নাটকটি ছিল তার প্রথম নির্দেশিত নাটক।
পাশাপাশি করেছেন বেশ কিছু পথ নাটকও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শান্তি রক্ষক, কবি শামসুর রাহমানের তোমার জন্য হে স্বাধানতা অবলম্বনে তোমার জন্য স্বাধীনতা এবং সুকুমার রায় এর অবাক জল পান । তবে এখন কাজ করছেন শিক্ষামুলক ফিলার নিয়ে। নৈতিক শিক্ষা আন্দোলন তার মধ্যে অন্যতম।
সাড়া দেশেই ছড়িয়ে দিতে চান এই নৈতিক শিক্ষা আন্দোলন কার্যক্রমটি, বলছিলেন সোহাগ। তবে, হঠাৎ নৈতিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে চাওয়া কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বাঙ্গালীর খবরকে বলেন,এখন সমাজ ব্যবস্থা নৈতিকভাবে একটা অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সমাজের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিতরাই কিন্তু সেসব অবক্ষয়ের সাথে প্রত্যেক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। তাই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে চান সোহাগ।
এছাড়াও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সোহাগ কাজ করেছেন বেশ কিছু বেসরকারী টেলিভিশন এবং সংবাদ পত্রিকায়ও। বগুড়ায় জন্ম নেয়া এই নাট্যপরিচালকের আজ জন্মদিন। বাঙ্গালীর খবরের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।