ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পূর্বাঞ্চলে শনিবার পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রসহ দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এদিকে দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর একটি মহলের চাপে মামলার পরিবর্তে স্থানীয়ভাবে একটি মৃত্যুর মীমাংসা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে, কারো চাপে নয়, মামলা করতে নিহতের পরিবার আগ্রহী না হওয়ায়, স্থানীয়ভাবে এটি মীমাংসা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্বাঞ্চলের নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আল আমীন মিয়ার কন্যা পরশ মনি (৫) বেলা ১২টার দিকে গোকর্ণঘাট সেতুর ওপর একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশার নিচে চাপা পড়ে মারা যায়। অপরদিকে দুপুর ২টার দিকে পূর্বাঞ্চলের কাইতলা উত্তর ইউটিনয়নের নারুই ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের দুবাই প্রবাসী শাহ আলমের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আদিব (৯) বাড়ির পাশে একটি ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে মর্মান্তিকভাবে মারা যায়।
অভিযোগ পাওয়া যায়, ঘটনার পরপরই নারুই গ্রামের স্থানীয় একটি মহলের চাপে মামলা মোকদ্দমার পরিবর্তে বিষয়টির মীমাংসা হয়ে যায়।
তবে নিহত ছাত্রের চাচা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘কারো চাপে নয়। আমরা ট্রাক্টরের মালিকরে এমনিতেই মাফ কইরা দিছি। মামলা করার ইচ্ছা আছিল। কিন্তু মামলা কইরা কি আমার ভাতিজারে ফেরত পওয়া যাইব ভাই?’
পূর্বাঞ্চলের শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে ঘুরে এসে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মামলা করতে নিহতের পরিবার আগ্রহী নয়। তাই স্থানীয়ভাবে এটি মীমাংসা হয়ে যায়।’
কোনো প্রভাবশালী মহলের চাপে কি এই মৃত্যুর পর মামলার পরিবর্তে মীমাংসা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে এস আই নজরুল বলেন, ‘না, এমন ঘটনা আমার জানা নেই।’